পল্লবী, বিদিশা, মঞ্জুষা, সরস্বতীর পর ফের কলকাতায় উঠতি মডেলের রহস্যমৃত্যু। বাঁশদ্রোণীর ফ্ল্যাট থেকে তরুণীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার। গলায় গামছার ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন বলেই প্রাথমিকভাবে অনুমান পুলিশের। ওই ফ্ল্যাট থেকে কোনও সুইসাইড নোট পাওয়া যায়নি। তরুণীর বান্ধবীকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
পূজা সরকার নামে ওই তরুণী সদ্যই মডেলিংয়ের জগতে পা রেখেছিলেন। আদতে উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটার বাসিন্দা পূজা। গোবরডাঙা হিন্দু কলেজের ছাত্রী তিনি। মাসছয়েক আগে বাঁশদ্রোণী থানার উলটো দিকের এক বহুতলের একতলাটি ভাড়া নিয়ে থাকতে শুরু করেন তিনি। গভীর রাতে বাড়ি ফিরতেন পূজা। স্থানীয়রা জানান, ওই ফ্ল্যাটে পূজা ছাড়াও থাকতেন আরেক তরুণী। মাঝেমধ্যেই দুই তরুণকেও আসাযাওয়া করতে দেখা যেত। রাতবিরেতে চিৎকার করতেও শোনা যেত তাঁদের।
শনিবার রাতে পূজা একটি ঘরের দরজা বন্ধ করে দেন। বহুবার ডাকাডাকি করেও সাড়াশব্দ পাওয়া যায়নি। আরেক তরুণী বাধ্য হয়ে বহুতলের অন্যান্য আবাসিকদের ডাকাডাকি করতে শুরু করেন। প্রতিবেশীরা জড়ো হয়ে যান। দরজা ধাক্কা দিয়ে ভিতরে ঢোকেন তাঁরা। দেখে গামছা দিয়ে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় পাখা থেকে ঝুলছেন পূজা। তড়িঘড়ি খবর দেওয়া হয় বাঁশদ্রোণী থানায়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছনোর আগেই সব শেষ। মৃত্যু হয় পূজার।
পুলিশ উঠতি মডেলের দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। উঠতি মডেলের সঙ্গে একই ফ্ল্যাটে বসবাসকারী তরুণীর দাবি, আত্মহত্যা করেছেন পূজা। তবে কী কারণে আত্মহত্যা করেছেন তিনি, তা এখনও স্পষ্ট নয়। পুলিশ ওই তরুণীকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। পরিবারকেও পূজার মৃত্যু সংবাদ জানানো হয়েছে। সম্প্রতি চারজন মডেলের আত্মহত্যার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। মানসিক অবসাদই আত্মহত্যার মূল কারণ হিসাবে উঠে আসে। উঠতি মডেল পূজার আত্মহত্যার নেপথ্যেও মানসিক অবসাদই আসল কারণ কিনা, খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
Be the first to comment