প্রায় দীর্ঘদিন ধরে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপালের দায়িত্ব সামলে এসেছেন জগদীপ ধনখড়। তবে এবারে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় পেতে চলেছেন নতুন দায়িত্ব। উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করার জন্য রাজ্যপালকে তাঁর নিজের পদ থেকে সরে দাঁড়াতে হবে। তবে এবারে এখানেই প্রশ্ন উঠছে, যদি জগদীপ ধনখড় রাজ্যপালের পদ ছেড়ে দেন তাহলে পশ্চিমবঙ্গের পরবর্তী রাজ্যপাল কে হবেন? সেই নিয়েই রাজনৈতিক মহল জুড়ে কার্যত জল্পনা উঠে আসছে।
এহেন পরিস্থিতিতে সূত্রের খবর, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের পরবর্তী রাজ্যপাল হতে পারেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর পিতা শিশির অধিকারী। যেহেতু শিশির অধিকারী দীর্ঘদিন থেকে সাংসদ পদে রয়েছেন সেই কারণে তাঁর অভিজ্ঞতাও অনেকটাই রয়েছে সাংসদীয় রাজনীতিতে।
আর যদি সংবিধানের কথা বলতে হয়, তাহলে এ ক্ষেত্রে কোনও বাধা নেই। কেন্দ্র মনে করলে কোনও ব্যক্তিকে তাঁর নিজের রাজ্যের রাজ্যপাল করতেই পারে। বাংলায় এমন নজিরও রয়েছে অতীতে। ১৯৯৯ সালে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শ্যামল সেন আট মাসের জন্য পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল হয়েছিলেন।
আবার অন্যদিকের সূত্রের খবরনুযায়ী, সাধারণতভাবে একই রাজ্যের ভোটার হলে সেই রাজ্যের রাজ্যপাল করা হয় না সংশ্লিষ্ট ওই ব্যক্তিটিকে। সেই ক্ষেত্রে এই নিয়মের ব্যতিক্রম হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটা নাম নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। প্রথমেই নাম উঠে আসছে বিদায়ী উপরাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নাইডুর।
এছাড়াও পরবর্তী রাজ্যপাল হিসেবে নাম উঠে আসছে বাংলারই পুত্র শিশির অধিকারীর। তৃতীয় নাম হিসেবে উঠে আসছে মুক্তার আব্বাস নকভির। উল্লেখ্য, তিনটি নামই খুব গুরুত্বপূর্ণ। তবে এছাড়াও বেশ কয়েকটি নাম নিয়ে কথাবার্তা চলছে বলে খবর । তবে আগামী দিনে বাংলার রাজ্যপাল কে হবে তা আগেই ঠিক করে রেখেছে বিজেপি সরকার তা বলাই যায়। তবে শুধু ঘোষণার অপেক্ষা।
এদিকে সোমবারের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে অংশ নিতে রবিবারই দিল্লি যাচ্ছেন সাংসদ শিশির অধিকারী। সূত্রের খবর, তাঁর সঙ্গে আজ রবিবার সন্ধ্যে ছটা বেজে কুড়ি মিনিটের একই বিমানে দিল্লি যাচ্ছেন পুত্র দিব্যেন্দু অধিকারীও। তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিটে দুজনেই সাংসদ পদে নির্বাচিত হলেও দলের সঙ্গে দীর্ঘ দূরত্ব তৈরি হয়েছে দুজনেরই। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে কাঁথির অধিকারী পরিবারের এই দুই সদস্যের অবস্থান কী হবে সেদিকে তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল।
Be the first to comment