রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের আগে বৈঠকে বাংলার বিজেপি বিধায়কেরা। নিউটাউনের একটি হোটেলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ৬৯ জন বিধায়ককে। সূত্রের খবর, বিজেপির সমস্ত ভোট দ্রৌপদী মুর্মুর পক্ষে সুনিশ্চিত করতেই এই সিদ্ধান্ত। যদিও একথা প্রকাশ্যে স্বীকার করেননি গেরুয়া শিবিরের নেতারা। বনগাঁ দক্ষিণের বিধায়ক স্বপন মজুমদার বলেন, আমাদের বিধায়কেরা রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে থাকেন। সোমবার তাঁদের ভোট দিতে যেতে যাতে সমস্যা না হয়, সেজন্যই এখানে রাখা হয়েছে। এর পিছনে অন্য কোনও কারণ নেই।
আজকের বৈঠকে বিজেপি বিধায়কদের ভোট নিয়ে প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়। বিজেপি সূত্রে খবর, দলের অনেকেই প্রথমবার জন্য বিধায়ক হয়েছেন। কীভাবে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোট দিতে হয় তার জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য একটি প্রতীকী ইভিএম আনা হয়েছে। সমস্ত ভোট যাতে এনডিএ-র রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মুর দিকে পড়ে, তা সুনিশ্চিত করতেই এই সিদ্ধান্ত। এই পাঁচতারা হোটেলে রাতে থাকবেন বিধায়কেরা। এখান থেকেই আগামীকাল, সোমবার বিধানসভায় রওনা দেবেন তাঁরা।
বাংলায় বিজেপির এখন ৭০ জন বিধায়ক রয়েছে। তবে হোটেলে আনা হয়েছে ৬৯ জন বিধায়ককে। হোটেলে অনুপস্থিত ছিলেন ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিংয়ের ছেলে পবন সিং। বাবা তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার পর পবন আনুষ্ঠানিকভাবে দল না ছাড়লেও পদ্ম শিবিরের অনুমান, পবনের ভোট যশবন্ত সিনহার দিকেই যাবে। ২০২১-এর বিধানসভা ভোটে বিজেপি ৭৭টি আসনে জয় পেলেও গত কয়েক মাসে ৭ জন বিধায়ক দল ছেড়ে তৃণমূলে চলে গিয়েছেন।
সংখ্যাতত্ত্বের হিসেব বলছে, পরবর্তী রাষ্ট্রপতি হিসেবে পাল্লা ভারী দ্রৌপদী মুর্মুর। শাসক শিবির এনডিএ-র হাতে আছে ৪৮ শতাংশ ভোট। এর মধ্যে বিজেপির ভোট ৪২ শতাংশ। বাকি ৬ শতাংশ শরিকদের। কংগ্রেস ও তার সহযোগী দলগুলির হাতে আছে মাত্র ২৪ শতাংশ ভোট। কংগ্রেসের ভোট ১৩.৫ শতাংশ। এছাড়া তৃণমূলের ৫.৪ শতাংশ, ওয়াইএসআর কংগ্রেসের ৪ শতাংশ, বিজু জনতা দলের ২.৮৫ শতাংশ এবং বামেদের ২.৫ শতাংশ ভোট রয়েছে।
Be the first to comment