রাজ্যসভায় পাশ হয়ে গেল গণবিধ্বংসী অস্ত্র সংশোধনী বিল। সোমবার ধ্বনিভোটে এই বিল পাশ হয়েছে। গত এপ্রিল মাসেই লোকসভায় এই বিল পাশ করা হয়েছিল। এরপর রাষ্ট্রপতির সম্মতি পেলেই আইনে পরিণত হয়ে যাবে এই বিল। প্রসঙ্গত, বাদল অধিবেশনের শুরুতেই এই সংশোধনী পেশ করার পরিকল্পনা ছিল সরকারের। এই সংশোধনীর ফলে গণবিধ্বংসী অস্ত্র তৈরিতে লাগাম দিতে পারবে কেন্দ্রীয় সরকার।
এই আইন কার্যকর হলে গণবিধ্বংসী অস্ত্র তৈরির জন্য আর্থিক সহায়তা করার উপরে নিষেধাজ্ঞা চাপানো হবে। কোনও ব্যক্তির বিরুদ্ধে যদি এই ধরনের অভিযোগ ওঠে তাহলে তার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার অধিকার থাকবে কেন্দ্রের। সোমবার রাজ্যসভায় এই প্রস্তাব নিয়ে বক্তব্য পেশ করেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর। তিনি বলেন,সন্ত্রাসবাদ নিয়ে যথেষ্ট চিন্তিত ভারত। সেইভাবেই গণবিধ্বংসী অস্ত্র নিয়েও চিন্তা বাড়ছে ভারতের। এই অস্ত্রের ব্যবহার প্রতিরোধ করতে যা আইন আছে, তাতে শুধু অস্ত্র কেনাবেচার উপরে নিষেধাজ্ঞা চাপানো রয়েছে। কিন্তু এই অস্ত্রের জন্য অর্থের জোগান বন্ধ করা দরকার।
জয়শংকর জানিয়েছেন, আইনের এই ফাঁক শুধরে নিতেই নতুন সংশোধনী বিল পেশ করা হয়েছে। দেশের সুরক্ষার জন্য খুবই হিতকর হবে এই সংশোধনী। এর আগে বিলটি নিয়ে লোকসভায় বিদেশমন্ত্রী বলেছিলেন, সম্প্রতি আন্তর্জাতিক স্তরে গণবিধ্বংসী অস্ত্রের বিস্তার ও সেগুলির বিতরণ উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। সেই কারণেই এমন হাতিয়ারের বিস্তার রোধে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি। রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের আর্থিক নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা ও আর্থিক অ্যাকশন টাস্ক ফোর্সের সুপারিশগুলি গণবিধ্বংসী অস্ত্রের বিস্তার ও সেগুলির সরবরাহ ব্যবস্থা বাধা দিতে খুবই জরুরি।
যদিও এই ভোট গ্রহণের সময়ও বিরোধীরা সঞ্জয় রাউতের গ্রেপ্তারি-সহ নানা বিষয়ে বিক্ষোভ দেখান। প্রসঙ্গত, ২০০৫ সালে গণবিধ্বংসী অস্ত্র আইন পাশ করা হয়েছিল। সেখানে কেবলমাত্র গণবিধ্বংসী অস্ত্র তৈরি এবং কেনাবেচার উপরে নিষেধাজ্ঞা চাপানো হয়েছিল। সেই আইনের ১২এ ধারা সংশোধন করার প্রস্তাব পেশ করা হয়েছে।
Be the first to comment