রবিবার পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেছিলেন, মঙ্গলবার তাঁর ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ও বললেন, ইডির উদ্ধার করা টাকা আমার নয় অর্থাৎ অর্পিতার ফ্ল্যাটে উদ্ধার হওয়া টাকা পার্থর নয়, অর্পিতারও নয়। তবে টাকা কার? অর্পিতা জবাবে জানিয়েছেন, তাঁর অনুপস্থিতিতে কেউ ওই টাকা রেখে গিয়েছে তাঁর ফ্ল্যাটে। তাঁর অজান্তেই ঘটেছে গোটা ঘটনাটি।
মঙ্গলবার জোকা ইএসআই হাসপাতালে স্বাস্থ্যপরীক্ষার জন্য নিয়ে আসা হয়েছিল পার্থ এবং অর্পিতাকে। হাসপাতালে প্রথমে ঢোকে পার্থের গাড়ি। সেখানে পার্থকে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলেও চুপ করেই থেকেছেন পার্থ। এর কিছুক্ষণ পরেই হাসপাতাল চত্বরে অর্পিতাকে নিয়ে ঢোকে ইডির গাড়ি। অর্পিতাকেও ইডির উদ্ধার করা টাকা নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। জবাবে অর্পিতা বলেন, টাকা আমার নয়, আমার অনুপস্থিতিতে ঘরে ঢোকানো হয়েছে। আমার অজান্তে টাকা ঢোকানো হয়েছে।
টাকা যে তার নয়, সে কথা অবশ্য এর আগেও অর্পিতা বলেছেন বলে জানিয়েছিল ইডির একটি সূত্র। সেই সূত্রেই এ কথাও জানানো হয়েছিল যে অর্পিতা বলেছেন, ওই টাকা পার্থের। তবে এই প্রথম জনসমক্ষে সেই দাবি করলেন অর্পিতা।
মঙ্গলবার এই নিয়ে চতুর্থ বার স্বাস্থ্যপরীক্ষার জন্য নিয়ে আসা হল পার্থ-অর্পিতাকে। এর আগে তিন দিন স্বাস্থ্যপরীক্ষার জন্য সিজিও কমপ্লেক্স থেকে হাসপাতালে আনা হয়েছে দু’জনকেই। প্রত্যেকবারই আলাদা গাড়িতে এসেছেন দু’জনে। তবে হাসপাতালে ঢোকার পথে এবং বেরোনোর সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন কখনও পার্থ কখনও অর্পিতা।
গত শুক্রবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে আমি আর পারছি না বলে কান্নায় ভেঙে পড়তেও দেখা যায় অর্পিতাকে। ক্রন্দনরত অর্পিতাকে অবশ্য ওই অবস্থাতেই পাঁজাকোলা করে গাড়ি থেকে বের করে ওঠানো হয় হুইলচেয়ারে। তবে পার্থ বার বার তাঁকে নিয়ে দলের সিদ্ধান্ত, মুখ্যমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন ইএসআই হাসপাতালের সামনে।
এমনকি, হাসপাতালে ঢোকার মুখে তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার বলেও জানিয়েছেন সাংবাদিকদের।
Be the first to comment