কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচন ঘিরে চলছে জোর জল্পনা। সংবাদ সংস্থা এএনআই একটি প্রতিবেদনে জানিয়েছে যে, রাহুল-সোনিয়া মল্লিকার্জুন খাড়গেকে সভাপতি হিসেবে প্রাধান্য দিয়েছেন। কিন্তু মল্লিকার্জুনের বক্তব্যে ফুটে উঠেছে ভিন্ন এক উক্তি। তিনি মনে করন কেবলমাত্র কংগ্রেস ও সোনিয়া গান্ধী এবং তাঁর মানহানির উদ্দেশ্যেই এই গুজব ছড়ানো হচ্ছে। বর্ষীয়ান এই কংগ্রেস নেতা জানান, তাঁর নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার অন্যতম কারণ হল দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে কংগ্রেসকে আরো শক্তিশালী করে তোলা।
খাড়গের বক্তব্যে তিনি আরও উল্লেখ করেন, তিনি দেশের স্বার্থে কংগ্রেস সভাপতি পদে লড়াই করেছেন। সরাসরিভাবে তিনি জানিয়ে দেন তিনি গান্ধী পরিবার মনোনীত প্রার্থী নন। এদিকে মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার পরেই, গান্ধী পরিবারের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে একপ্রকার তকমা জুটেছে মল্লিকার্জুনের। যদিও প্রবীণ কংগ্রেস নেতা এই কথাটি মেনে নিতে পারেননি। বিষয়টিকে আরও একবার ‘গুজব’ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন রাজ্যসভার কংগ্রেস সংসদ।
এছাড়াও মল্লিকার্জুন তাঁর বক্তব্যে দেশের আশঙ্কাজনক পরিস্থিতি সম্পর্কেও উল্লেখ করেছেন। তিনি তাঁর বক্তব্যে মোদী অমিত শাহেরও সমালোচনা করেছেন। তাঁদের রাজনীতিকে ‘অগণতান্ত্রিক’ বলেও অভিযোগ করেছেন। তবে এখানেই শেষ নয় এদিন খাড়গে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি ও সিবিআই-এর দিকেও আঙুল তুলে বলেন, কেন্দ্রের শাসকদল নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির জন্য এই সংস্থা দুটিকে কাজে লাগাচ্ছে।
আগামী ১৭ অক্টোবর কংগ্রেস সভাপতি পদে নির্বাচন। দলীয় সভাপতি নির্বাচনে খাড়গের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তিরুবনন্তপুরমের কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর। প্রায় ৯ হাজার ৩০০ জন ভোটার নতুন সভাপতি হিসেবে কাকে বেছে নেবেন তা জানার জন্য ১৯ অক্টোবর পর্যন্ত অপেক্ষা করতেই হবে। তবে মল্লিকার্জুনের জয় যে শুধু সময়ের অপেক্ষা তা কংগ্রেস অন্দরে কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে।
Be the first to comment