সাত সকালে ভয়াবহ দুর্ঘটনা হাওড়ায়। রাস্তার ধারে অপেক্ষারত মা ও মেয়েকে পিষে দিল অ্যাম্বুল্যান্স। দুজনেরই মৃত্যু হয়েছে। ঘটনার পর উত্তেজিত জনতা রাস্তা অবরোধ করেন। আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় ঘাতক অ্যাম্বুল্যান্সটিতে। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। তবে এখনও চলছে অবরোধ।
শনিবার সকাল সাড়ে ৬টা নাগাদ এই ঘটনা ঘটে উলুবেড়িয়ায় জোড়াকলায় ১৬ নম্বর জাতীয় সড়ক তথা মুম্বই রোডের ধারে। মৃতরা হলেন অপর্ণা পাড়াল (৪০) ও টুসু পাড়াল (১০)। এ দিন তাঁরা খড়গপুরগামী লেনের রাস্তার বাঁ ধারে বাসের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে ছিলেন। বৃত্তি পরীক্ষা থাকায় মেয়েকে স্কুলে নিয়ে যাচ্ছিলেন মা। সেই সময় দুরন্ত গতিতে ছুটে আসে অ্যাম্বুল্যান্সটি। উত্তেজিত জনতা রাস্তা অবরোধ করেন। আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় অ্যাম্বুলেন্সটিতে। দমকল কর্মীরা আগুন নেভাতে গেলে তাঁদের বাধা দেন বিক্ষোভকারীরা।
এলাকার এক বাসিন্দা জানান, ঘটনাস্থলেই মা ও মেয়ের মৃত্যু হয়েছে। পরে দেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায় পুলিশ। তবে তাঁদের দাবি, এমন দুর্ঘটনা এই অঞ্চলে নতুন নয়। দুর্গা পুজোর অষ্টমীর দিনও দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ। তাঁদের দাবি, বারবার একই ঘটনা ঘটা সত্ত্বেও পুলিশ, প্রশাসনের হুঁশ ফেরেনি। অবিলম্বে মূল রাস্তার পাশে একটা আলাদা রাস্তা হওয়া দরকার বলে মনে করছেন বাসিন্দারা। বিধায়কেরও কোনও তৎপরতা নেই বলে অভিযোগ করেন এক ব্যক্তি।
আর এক ব্যক্তি জানান, স্কুলের সময় ছাত্রছাত্রীরা রীতিমতো ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পার হয়। তাঁদের দাবি, এলাকায় একটি প্রাথমিক স্কুল সহ মোট তিনটি স্কুল রয়েছে। ফলে বহু পড়ুয়া ওই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করেন। বিপজ্জনকভাবে তাঁরা রাস্তা পার হন বলে দাবি পড়ুয়াদের। তাঁদের মূল দাবি হল, একটি বাইপাস তৈরি করতে হবে। খুব বড় না হলেও একটা ছোটখাটো বাইপাস তৈরি করার দাবি জানিয়েই চলছে অবরোধ।
Be the first to comment