পুজোর পর আবার শুরু হয়েছিল বউবাজার মেট্রোর। আর তাতেই বিপত্তি। ফের নতুন করে একাধিক বাড়িতে ফাটল দেখা দিয়েছে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে। শুক্রবার সকালে তড়িঘড়ি ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িগুলি থেকে বের করে আনা হয় মানুষজনকে। শুক্রবার থেকেই যুদ্ধকালীন তৎপরতায় মাটির নীচে জলস্রোত আটকানোর কাজ শুরু করে দিয়েছিল নির্মাণ সংস্থা কেএমআরসিএল। কিন্তু বৃষ্টির জন্য বেশ বেগ পেতে হয়েছিল। শনিবার সকালে কেএমআরসিএল-এর তরফে জানানো হয়, মেট্রোর সুড়ঙ্গের ভিতরে জলস্রোতের ৭৫ থেকে ৮০ শতাংশ বন্ধ করা সম্ভব হয়েছে।
শনিবার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এসেছিলেন কেএমআরসিএল-এর কর্তারা। তাঁরা বলে গেলেন, দক্ষতার সঙ্গে উন্নত মানের গ্রাউটিং ও পলিইউথিরিন কেমিক্যাল সঠিকভাবে ব্যবহার করার ফলে এই জল গতিতে বেরিয়ে আসা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়েছে বলে জানান কেএমআরসিএল কর্তারা। প্রসঙ্গত, শুক্রবার রাতেও পর্যবেক্ষণে এসেছিলেন কেএমআরসিএল-এর কর্তারা। সেই সময় তাঁরা জানিয়েছিলেন, জলস্রোত বন্ধ করতে আরও সময় লাগবে। তবে গ্রাউটিং নিখুঁতভাবে করায় একাধিক অংশে জলস্রোত নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়েছে বলেই জানান কেএমআরসিএল কর্তারা।
প্রসঙ্গত, শনিবার দুপুর ১২ টা নাগাদ কেএমআরসিএল-এর কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসার কথা রয়েছে কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের। কলকাতা পুরনিগমের ভবনে এই উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। উল্লেখ্য, কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম গতকালই বলেছিলেন বউবাজারের এই সমস্যা থেকে নিস্তারের জন্য তিনি আলোচনা চান। এদিকে কেএমআরসিএল-এর তরফেও শুক্রবার বিকেলে সাংবাদিক বৈঠকে জানানো হয়, “আমরা কলকাতার মেয়রের সঙ্গে কথা বলেছি। উনি সাহায্য করেছেন।” এখন দেখার শনিবার দুপুরে বৈঠক থেকে কোন কোন বিষয় উঠে আসে।
শুক্রবার কেএমআরসিএল-এর থেকে এও জানানো হয়েছিল, “যে রাসায়নিক ব্যবহার করা হচ্ছে গ্রাউটিং-এর ক্ষেত্রে তার নাম পলিইউথিরিন। এই রাসায়নিক গ্রাউটিং-এ ব্যবহার করা হচ্ছে কারণ এটা সহজে জলকে শুষে নেয়। ফলে যেখান থেকে জল বেরোচ্ছিল সেখানে এর ব্যবহারে আমাদের অনেক সুবিধা হয়েছে।”
Be the first to comment