দীর্ঘ ৮ বছরের অপেক্ষার অবসান। আলোর উৎসবের আগে নতুন ভোরের সূচনা। নিজেদের যোগ্যতায় ফের শিক্ষিকতা করার স্বপ্ন দেখতে শুরু করলেন উচ্চ প্রাথমিক টেট উত্তীর্ণ প্রায় দেড়হাজার চাকরিপ্রার্থী। ২০১৪ সালে বিজ্ঞপ্তি জারি হয়। সেই বিজ্ঞপ্তির ভিত্তিতে আপার প্রাইমারিতে শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা হয় ২০১৫-তে। ইন্টারভিউ দেওয়ার পরও বাতিল হয় প্যানেল।
এখনও নিয়োগপত্র পাননি কেউ। শেষপর্যন্ত আদালতের নির্দেশে অভিযোগ জানিয়ে উচ্চ প্রাথমিকে ইন্টারভিউয়ের ডাক পেয়েছেন ১ হাজার ৫৮৫ জন। আজ, ২১ অক্টোবর শুক্রবার থেকে সল্টলেক করুনাময়ীতে স্কুল সার্ভিস কমিশনের দফতর আচার্য সদনে শুরু হল ইন্টারভিউ। চলবে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত।
আজ, প্রথমদিন ইন্টারভিউ দিয়ে বেরোনোর সময় চাকরি প্রার্থীদের ঠোঁটের কোণে তৃপ্তির হাসি। প্রত্যেকেরই মুখে একটা কথা, এ জীবনে শিক্ষকতা করার সুযোগ যে পাবেন সেই স্বপ্ন দেখাটাই বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। হাইকোর্টের নির্দেশে রাজ্য সরকারের ইতিবাচক পদক্ষেপ আবার নতুন করে স্বপ্ন দেখাতে শুরু করেছে তাঁদের। প্রত্যেকেই আশাবাদী এবার নিয়োগ স্বচ্ছতার সঙ্গে হবে বলেই মনে করেন তাঁরা। একইসঙ্গে নিয়োগ যেন দ্রুত হয়, সেই আর্জিও জানিয়েছেন সরকারের কাছে।
প্রসঙ্গত, কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে এই সকল প্রার্থীদের ইন্টারভিউ পর্ব শুরু করল স্কুল সার্ভিস কমিশন। কমিশনের চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার জানিয়েছেন, ইন্টারভিউ দিয়ে যাঁরা পাশ করবেন, তাঁদের নিয়োগ করা হবে অপার প্রাইমারি স্কুল শিক্ষতার চাকরিতে।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের বিজ্ঞপ্তিতে টেট উত্তীর্ণ বেশকিছু প্রার্থী এসএসসিতে অভিযোগ জানিয়েছিলেন যে, তাঁরা উচ্চ প্রাথমিকে টেট-এ পাস করেছিলেন, কিন্তু ইন্টারভিউয়ে ডাক পাননি। আবার অনেকে ইন্টারভিউ দেওয়ার পর প্যানেল বাতিল হয়। এরপর তা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা হয়। এসএসসি আদালতে হলফনামায় বলে, ১৫৮৫টি আসনে নিয়োগ করার অনুমতি দিক হাইকোর্ট। গত ৩০ সেপ্টেম্বর সেই আবেদন মঞ্জুর করে আদালত। তারপরই এসএসসি জানায় পুজোর পর অক্টোবরের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া শুরু করা হবে। সেইমতো শুরু হল ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া। আদালত খুললে, দু’সপ্তাহ পর মেধাতালিকা জমা দেওয়া হবে বলে জানালেন স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান।
Be the first to comment