ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’, তৎপর জেলা প্রশাসন

Spread the love

পূর্বাভাসমত গভীর নিম্নচাপে পরিণত হল পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপ। আবহাওয়া দফতর তরফে খবর, রবিবার ভোর সাড়ে ৫টা নাগাদ বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপ আরও শক্তি সঞ্চয় করে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। আগামী ১২ ঘণ্টার মধ্যে আরও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হবে এই গভীর নিম্নচাপ অঞ্চল। আর তার পরই এই গভীর নিম্নচাপ আরও শক্তি বাড়িয়ে পরিণত হবে ঘূর্ণিঝড়ে। সেইমত রাজ্যের উপকূলীয় জেলাগুলিতে চলছে মাইকিং। মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যাওয়ার নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে।সোমবার থেকে বন্ধ থাকবে ফেরি সার্ভিসও।

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং যে বাংলায় আছড়ে পড়বে না, তা আগেই জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। তবে এর প্রভাব পড়বে রাজ্যে, কারণ সুন্দরবনের উপর দিয়ে গিয়ে বাংলাদেশে আছড়ে পড়বে সিত্রাং। আর এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে রবিবার সকাল থেকেই উপকূলীয় জেলাগুলির আবহাওয়ার পরিবর্তন হতে শুরু করেছে।রবিবার সকাল থেকেই মেঘলা আকাশ। আগাম সর্তকতামূলকভাবে ইতিমধ্যেই বহু মানুষকে নিরাপদে সরানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে।আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, সোমবার সকাল থেকেই জেলায় জেলায় শুরু হবে বৃষ্টি। সঙ্গে বইবে ঝোড়ো হাওয়া।

আবওয়া দফতর সূত্রের খবর, সোমবার সুন্দরবন এলাকা দিয়ে ঢুকবে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং। বাংলাদেশের তিনকোনা ও সন্দীপ এর মাঝামাঝি স্থলভাগে প্রবেশ করবে মঙ্গলবার সকালে। ঘণ্টায় গতিবেগ থাকবে ১০০ কিলোমিটার। এর প্রভাবে বঙ্গে ভারী বৃষ্টিপাত হবে। এছাড়াও বইবে ঝোড়ো হাওয়া। সোম ও মঙ্গলবার জলোচ্ছ্বাস হতে পারে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার সমুদ্র উপকূলে। যার জেরে নদী বাঁধ নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। সমুদ্রের জল ঢুকে পড়তে পারে নিচু এলাকায়। প্রচুর বাড়ি ঘর ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।পর্যটকদের সমুদ্র স্নান নিয়ন্ত্রণের পরামর্শ দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। আগেভাগেই হোটেল ফাঁকার নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। ক্যানসেল হয়েছে বুকিং।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*