সাগরদিঘি উপনির্বাচনে জয় পেল বায়রন বিশ্বাস। ২৪ হাজারের কিছু ভোটে জিতলেন “অশুভ” জোটের প্রার্থী শিল্পপতি বায়রন। হাত প্রতীক নিয়ে ভোটে লড়লেন নিন্দুকরা বলছেন, বায়রন আসলে শুভেন্দু সমর্থিত বাম-কংগ্রেস জোট প্রার্থী।
নির্বাচনের আগে থেকেই মুর্শিদাবাদ জেলায় কান পাতলেই শোনা যাচ্ছিল, বায়রন বিশ্বাস আদপে দলবদলু বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী ঘনিষ্ঠ। শুভেন্দু-বায়রনকে এক ফ্রেমেও দেখা গিয়েছে। এমনকি, শুভেন্দুর কথাতেই সাগরদিঘিতে বায়রন বিশ্বাসকে প্রার্থী করেছে কংগ্রেস, সেই অভিযোগ শোনা গিয়েছে বিভিন্ন মহল থেকে। গত ২৭ জানুয়ারি ভোটের দিনও একটি বুথের বাইরে কংগ্রেসের বায়রন বিশ্বাস ও বিজেপির দিলীপ ঘোষকে হাতে হাত রেখে ঘুরতে দেখা গিয়েছে। এবং বিজেপি প্রার্থীর ভোটের হার দেখলেই পরিস্কার, রাম ভোট গিয়েছে কংগ্রেস-বামে। ফলে বাম-রাম-শ্যামের জোট নিয়ে তৃণমূলের অভিযোগ-ই প্রমাণিত হল সাগরদিঘির মাটিতে।
এদিন কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী বলেন, “এই নির্বাচনে কংগ্রেস-বাম আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে লড়েছিলাম। আমার মনে হয়, কৌশলগত কারণে অনেক বিজেপিও ভোট দিয়েছে স্বাভাবিকভাবেই আমাদের প্রার্থী বায়রন বিশ্বাস জিতেছে।” অর্থাৎ, অধীর পরোক্ষে স্বীকার করে নিলেন বাম-কংগ্রেস জোটের প্রার্থীকে আড়াল থেকে সমর্থন করেছে বিজেপিও।
সাগরদিঘি নিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে শুভেন্দু এমন কিছু মন্তব্য করেছিলেন, যেখানে স্পষ্ট, বিজেপি অন্ধকার থেকে জোট প্রার্থীকেই সমর্থন করবে। গণনা শেষে নিজেদের প্রার্থী দিলীপ সাহার গো-হারা হারলেও বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য হাসিমুখে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বুঝিয়ে দেন, তাঁরা বাম-কংগ্রেস জোটের সঙ্গেই রয়েছেন। সাগরদিঘিতে জোট প্রার্থী জেতার পরই মুরলিধর সেন লেনে রাজ্য বিজেপির দফতরে আবির খেলা, মিষ্টি বিতরণ শুরু হয়। যেখানে হাজির ছিলেন বঙ্গ রাজনীতির গিরগিটি রুদ্রনীল ঘোষ। তিনি বলেন, বাংলায় সব দল জোট করেছে বলে বায়রন বিশ্বাস জিতেছে। খুব ভালো ব্যাপার।
Be the first to comment