সাগরদিঘির উপনির্বাচনে প্রায় ২৩ হাজার ভোটের ব্যবধানে জিতেছে কংগ্রেস। তারপরেই বৃহস্পতিবার, সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ‘রামধনু জোট’ নিয়ে তুলোধনা করলেন তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সাঘরদিঘির ভোটের ফল নিয়ে বাম-কংগ্রেস-বিজেপি-র অশুভ আঁতাঁত নিয়ে তোপ দাগেন মমতা। বলেন, “সাগরদিঘিতে আমরা হেরেছি। কাউকে দোষারোপ করতে চাই না। কিন্তু একটি অনৈতিক জোট হয়েছে। এটাকে তীব্র ভাষায় নিন্দা করছি। বিজেপির ভোট এবার কংগ্রেসে গিয়েছে। সিপিএম-কংগ্রেস এক হয়ে গেছে। এখন বিজেপর ভোটও ওরা পাচ্ছে।”
কংগ্রেস সাংসদ অধীররঞ্জন চৌধুরীকে তীব্র কটাক্ষ করেন তৃণমূল নেত্রী। বলেন, “আমি অধীর চৌধুরীর বক্তব্য দেখেছি। তিনি বলেছেন বাম, বিজেপি সাহায্য করেছে। আমি এবার তাঁকে ধন্যবাদ জানাতে চাই, সত্যি কথা বলার জন্য। এটা আমরা সবসময় বলেছি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারানোর জন্য বিজেপির সাহায্য নিয়েছে। প্রত্যেকে ধর্মীয় মেরুকরণ করেছে। বিজেপি সবসময় এটা করে। সিপিএম কংগ্রেস এখন এটা করছে। কিন্তু এটা একটা শিক্ষা হল আমাদের। আমরা কংগ্রেস এবং সিপিএম-র থেকে কথা শুনব না। কারণ যারা বিজেপির সঙ্গে থাকে, আমরা তাঁদের সঙ্গে থাকতে পারে না।”
মমতা বলেন, ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনেও ওরা (বাম-কংগ্রেস) জোট করেছিল। একটা আসনও পায়নি। তখন ওদের ভোট বিজেপিতে গিয়েছে। এবার বিজেপি ওদের ভোট দিয়েছে। দেওয়া-নেওয়া সম্পর্ক। এরপরই চ্যালেঞ্জ ছুড়ে তৃণমূল সভানেত্রী বলেন “তৃণমূলের ওড়ানোর স্বপ্ন দেখতে হলে চোখে সর্ষে ফুল দেখতে হবে। ওদের রাজনৈতিক নাট্য খতম করব। এটা আমার চ্যালেঞ্জ।”
এরপরেই মমতা বলেন, “তৃণমূল কারও সঙ্গে জোট করবে না। আমরা মানুষের সমর্থন নিয়ে লড়ব। তৃণমূলকে পারলে ছুঁয়ে দেখাক।” সর্বভারতীয় ক্ষেত্রেও কংগ্রেস বিজেপিকে মোকাবিলা করতে পারবে না বলে মন্তব্য করেন মমতা। তাঁর কথায়, সাগরদিঘিতে বিজেপি-কংগ্রেস গোপন জোট হয়েছে। এক্ষেত্রে বিজেপির বিরুদ্ধে যাওয়ার ক্ষমতা নেই কংগ্রেসের। গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে একমাত্র লড়াই করতে পারে তৃণমূল।
Be the first to comment