রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ‘মাতৃসম’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কুরুচিকর মন্তব্যের জের। অবশেষে জামিন পেলেন কংগ্রেসের মুখপাত্র তথা আইনজীবী কৌস্তভ বাগচী। শনিবার ১ হাজার টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে তাঁর জামিন মঞ্জুর করে ব্যাঙ্কশাল আদালত। তবে এদিন দুপুরে কৌস্তভের শুনানিকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে শুনানিকক্ষ। আদালতের বাইরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন কংগ্রেস কর্মী-সমর্থকরা। এদিন কৌস্তভের হয়ে আদালতে সওয়াল করেন আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য সহ অন্যান্য আইনজীবীরা। বিচারক (অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট-১) অতনু মণ্ডলের এজলাসে কৌস্তভের মামলার শুনানি হয়। মামলার পরবর্তী শুনানি ৫ এপ্রিল। তবে এদিন আদলত থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কৌস্তভ বলেন, “এই লড়াই জারি থাকবে”।
তবে এদিন সওয়াল জবাবের সময়ই আদালত কক্ষে দাঁড়িয়ে আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য প্রশ্ন তোলেন, আমার মক্কেল কি সন্ত্রাসবাদী? কৌস্তভের বিরুদ্ধে যেসব ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছিল তার অধিকাংশই জামিনযোগ্য। তবে পুলিশ সাফ জানিয়েছে, হুমকি এবং অশান্তি ছড়ানোর দায়ে গ্রেফতার করা হয়েছে কৌস্তভকে।
অন্যদিকে, এদিন আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যের পাল্টা সরকারি আইনজীবী বলেন, বেশ কিছু বক্তব্য প্রকাশ্যে অশান্তির জন্য করা হয়েছে। এর যথাযথ তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। তবে এদিন দু’পক্ষের আইনজীবীদের সওয়াল-জবাব শেষে ‘অর্ডার রিজার্ভ’ রাখার কথা বলেন বিচারক। এরপরই আদালত কক্ষে শুরু হয় চরম হই-হট্টগোল। বিচারক অর্ডার না দিলে তাঁরা আদালতকক্ষ ছাড়বেন না বলে জানান। এদিন হট্টগোলের জেরে বিচারক নিজের আসন ছেড়ে কক্ষ থেকে বেরিয়ে যান। তবে কিছুক্ষণ পর কৌস্তভের জামিনের নির্দেশ দেন বিচারক।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘি উপনির্বাচনে কংগ্রেসের জয়ের পর প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কিছু মন্তব্য করেন। তারপরই শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠক করেন কৌস্তুভ। সেখানে তিনি তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক তথা রাজ্যের প্রাক্তন আমলা দীপক ঘোষের একটি বইয়ের প্রসঙ্গ তুলে মুখ্যমন্ত্রীকে ‘ব্যক্তি আক্রমণ’ করেন। তাঁর বিরুদ্ধে কুরুচিকর মন্তব্য ও হিংসা ছড়ানোর অভিযোগ ওঠে। তারপরই শনিবার কলকাতা পুলিশ কৌস্তুভকে গ্রেফতার করা হয়।
Be the first to comment