আচমকা প্রাকৃতিক দুর্যোগে বিপর্যস্ত উত্তরের একাধিক জেলা। দুর্যোগের জেরে আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, কোচবিহারের বিস্তীর্ণ অঞ্চল বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে। চলছে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা। ফলে সমস্যায় পরে যান পরিক্ষার্থীরা। কিন্তু তাঁদের কাছে স্বপ্নের ফেরিওয়ালা যেন সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। “এক ডাকে অভিষক”-এ ফোন করতেই মুহূর্তে মুশকিল আসান! বিদ্যুতমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের নির্দেশে বিদ্যুতহীন উত্তরবঙ্গে চটপট ফিরল আলো।
পড়ুয়াদের অসুবিধার কথা জানতে পেরেই তড়িঘড়ি পদক্ষেপও করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। বুধবার নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে অভিষেক লেখেন, উত্তরের একাধিক এলাকার বাসিন্দারা ফোন করছেন। তাঁরা জানাচ্ছেন, ঝড়বৃষ্টি, দুর্যোগের জেরে বহু এলাকায় বিদ্যুৎ নেই। সেই কারণে পরীক্ষার্থীরা সমস্যায় পড়েছেন। ফোন পেয়েই তাই তিনি দ্রুত বিদ্যুৎ দফতরের সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। যাতে খুব শীঘ্রই এই সমস্যা মেটানো যায়। যে সমস্ত এলাকায় বিদ্যুতের তার ছিঁড়েছে সেখানে মেরামতির জন্য সেখানে লোক পাঠানো হয়েছে। অন্তত ২৫০ জন কাজে লেগে পড়েছেন। আর ৬ থেকে ৮ ঘণ্টার মধ্যেই আলো ফিরে আসবে বলে আশ্বাস দেন অভিষেক।
এরপরই যুদ্ধকালীন তৎপরতায় মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের নির্দেশে বিপর্যয় মোকাবিলায় নেমে পড়েন বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীরা। আলো ফেরে উত্তরবঙ্গের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে। দার্জিলিং, কালিম্পঙ, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহার জেলায় গতকাল, বুধবার সন্ধ্যায় ঝড় ও শিলা বৃষ্টির কারণে বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে প্রায় শতাধিক পোল ভেঙেছে। আড়াইশোটির বেশি জায়গায় ইলেকট্রিক লাইনে গাছ পড়ে তার ছিড়ে গেছে। বজ্রপাতে ইনসুলেটার নষ্ট হয়েছে বহু জায়গায়। তবে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় তিনশোর বেশি বিদ্যুৎকর্মী ও আধিকারিক জরুরি ভিত্তিতে কাজ করেছেন বিদ্যুৎ ব্যবস্থা স্বাভাবিক করার জন্য। এমনটাই জানিয়েছেন WBSEDCL-এর চিফ ইঞ্জিনিয়ার সুমিত মুখোপাধ্যায়।
অভিষেক টুইটে লেখেন, “যেভাবে জরুরি ভিত্তিতে আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার জেলার বিস্তীর্ণ অংশে বিদ্যুৎ বিভাগের ২৫০-র বেশি কর্মী কাজে নেমে পড়েছেন তা দেখে আমি অভিভূত।”একই সঙ্গে মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসকে তিনি ধন্যবাদ জানিয়েছেন উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের কথা মাথায় রেখে দ্রুত ওই অঞ্চলে বিদ্যুৎ ফেরানোর ব্যবস্থা করার জন্য। “এক ডাকে অভিষেক” আর ৭৮৮৭৭৭৮৮৭৭ নম্বরটি এখন রাজ্যবাসীর কাছে “আলাদিনের আশ্চর্য প্রদীপ”!
Be the first to comment