সাগরদিঘির হারের কাঁটাছেড়া করতে গিয়ে জাতীয় রাজনীতির পর্যালোচনা করলেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেখানে সরাসরি কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী ও BJP-র ষড়য়ন্ত্রের পর্দাফাঁস করলেন মমতা। তাঁর অভিযোগ, “রাহুল গান্ধী যতদিন থাকবেন, মোদিকে কেউ খারাপ ভাববে না। সেই জন্য রাহুলকে নেতা বানানোর চেষ্টা বিজেপি-র। আমি দিল্লিতে তোমার সঙ্গে দোস্তি করব, আর এখানে তুমি বিজেপির সঙ্গে মস্তি করবে!”
সাগরদিঘির নির্বাচনের ফল প্রকাশের পরেই ঝুলি থেকে বেড়াল বেরিয়ে পড়েছে। সামনে বামেদের সঙ্গে জোট করলেও তলায় তলায় বিজেপির সঙ্গে আঁতাঁত করে কংগ্রেস- সেই তথ্য সামনে আসে। রবিবারের, ভার্চুয়াল বৈঠকেও এই নিয়ে কটাক্ষ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এটা অনৈতিক জোট আখ্যা দিয়ে তৃণমূল সুপ্রিমো অভিযোগ করেন, সাগরদিঘিতে টাকার খেলা হয়েছিল। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী অপপ্রচার চালাচ্ছেন বলেও অভিযোগ করেন মমতা। এরপরেই বিজেপি-কংগ্রেস যোগ নিয়ে রাহুল গান্ধীকে নিশানা করেন মমতা। বলেন, মোদির সবচেয়ে বড় টিআরপি রাহুল গান্ধী। রাহুল যতদিন থাকবেন, মোদিকে কেউ খারাপ ভাববে না। সেই জন্য রাহুলকে নেতা বানানোর চেষ্টা বিজেপি-র। “আমি দিল্লিতে তোমার সঙ্গে দোস্তি করব, আর এখানে তুমি বিজেপির সঙ্গে মস্তি করবে!” অর্থাৎ সাগরদিঘির অশুভ জোটের প্রভাব পড়তে চলেছে জাতীয় রাজনীতিতেও।
কংগ্রেসকে বাদ দিয়ে কেন্দ্রে তৃতীয় জোটের জল্পনা আগেই উস্কে দিয়েছেন তৃণমূল সভানেত্রী। মমতার কথায়, তিনি নন, বিজেপি-র সামনে মাথা নত করেছে কংগ্রেসই। এর তাঁর এই মন্তব্যে আগামী লোকসভা নির্বাচনের আগে কংগ্রেসকে নিয়ে বিরোধী ঐক্যের সম্ভাবনা আরও কমল বলে মত রাজনৈতিক মহলের। এদিন, সরাসরি কংগ্রেসকে আক্রমণ করে মমতা বলেন, “আমি বিজেপির কাছে মাথানত করিনি। মাথানত করেছে কংগ্রেস।” এই ‘অনৈতিক’ জোটের পরে কংগ্রেসের আর নিজেদের বিজেপি-বিরোধী বলা উচিত নয় বলে তোপ দাগেন।
এর আগে, গোয়া, ত্রিপুরা, মেঘালয়ে নির্বাচনে তৃণমূল এবং কংগ্রেসের মধ্যে সংঘাত বাধে। বিজেপিকে সুবিধা করিয়ে দেওয়া নিয়ে দুপক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে তোপ দাগে। কিন্তু সাগরদিঘি নির্বাচনে বিজেপির অঘোষিত সাহায্য নিয়ে কংগ্রেসের জেতায় তাদেরকেই তীব্র নিশানা করলেন মমতা। একই সঙ্গে রাহুল গান্ধীর রাজনৈতিক যোগ্যতা নিয়েই মমতা প্রশ্ন তুলে দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো।
Be the first to comment