অনুব্রতকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতে পাঠাল দিল্লির রাউস এভিনিউ কোর্ট।আগামী ৩ এপ্রিল পর্যন্ত তাঁর ঠিকানা তিহার জেল। জানা যাচ্ছে, শরীর অসুস্থতার কারণে আপাতত তাঁকে মেডিক্যাল সেলেই রাখা হবে। আগামী দিনে বাসন্তীপূজা, অন্নপূর্ণা পূজা এবং রামনবমীও জেলেই কাটাতে হবে বীরভূমের জেলা সভাপতিকে।
পাশাপাশি, অনুব্রতকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। পরবর্তী শুনানি ৩ এপ্রিল।
এখন তিহার জেলে রয়েছেন অনুব্রতের প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল হোসেন। গরু পাচার মামলায় তাঁকে ২০২২-এর ৯ জুন গ্রেফতার করেছিল ইডি। এর পর তাঁকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে জেরা করার আবেদন জানানো হয়েছিল আদালতে। আদালতের অনুমতিতে গত ২২ অক্টোবর দিল্লি নিয়ে গিয়ে ইডি সায়গলকে দু’দফায় হেফাজতে নিয়ে টানা জেরা করে। পরে দিল্লির রাউস এভিনিউ আদালতের নির্দেশে তিহাডর জেলে পাঠানো হয় তাঁকে। সেই থেকে তিনি তিহারেই রয়েছেন। এ বার সেখানে গেলেন অনুব্রতও।
গরু পাচার মামলায় অনুব্রতকেই প্রথম গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। পরে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট আসানসোল জেলের মধ্যে অনুব্রতকে গ্রেফতার করে। পরে রাউস অ্যাভিনিউ কোর্ট তাঁকে দিল্লিতে হাজির করানোর পরোয়ানা জারি করেছিল, যাতে ইডি অনুব্রতকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে। ওই পরোয়ানার বিরুদ্ধে এবং রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টের এক্তিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তুলে আগেই অনুব্রত দিল্লি হাই কোর্টে মামলা করেন। ইডি তাঁকে গ্রেফতারের পরে কারণ জানিয়ে কোনও নথি দেয়নি বলে অভিযোগ করে মামলা করা হয়। এই সব ক’টি অভিযোগের প্রেক্ষিতে দিল্লি হাই কোর্ট ইডি-র বক্তব্য জানতে চেয়ে নোটিশ জারি করে।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি অনুব্রতের আবেদনের ভিত্তিতে মামলার শুনানি ছিল দিল্লি হাই কোর্টে। কিন্তু ওই দিন শুনানি হয়নি। এক মাস পিছিয়ে গিয়ে ১৭ মার্চ শুনানির দিন ধার্য হয়েছিল। সেই শুনানিও পিছিয়ে যায়। মঙ্গলবারের জেল হেফাজতের নির্দেশের ফলে অনুব্রতের নতুন ঠিকানা তিহার জেল।
অনুব্রত মণ্ডলের তরফে এদিন আদালতে আবেদন করা হয় যে, তিনি ৪টি ব্যাগ নিয়ে তিহার জেলে যেতে চান। ওইসব ব্যাগে অনুব্রতর ওষুধপত্র ও বেশ কিছু জিনিস রয়েছে বলেও জানানো হয়। যা শুনে বিচারকের নির্দেশ, শুধু কি ওষুধই, নাহলে কী কী জিনিস তিনি তিহারে নিয়ে যেতে চান তা জেল কর্তৃপক্ষকে বিস্তারিতভাবে জানাতে হবে।
Be the first to comment