আজ, বুধবার দুপুরে সাগরদিঘির বাম সমর্থিত কংগ্রেসের জয়ী প্রার্থী বায়রন বিশ্বাসের শপথ। দুপুর ১টায় বিধানসভায় বায়রন বিশ্বাসকে শপথ বাক্য পাঠ করাবেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। গত ২ মার্চ ভোটের ফলপ্রকাশ ২০দিনের মাথায় এবার বিধায়ক পদে শপথ। কিন্তু তার আগেই তুমুল বিতর্কে জড়ালেন বায়রন বিশ্বাস। বিতর্ক যেন কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না সাগরদিঘি উপনির্বাচনে বাম সমর্থিত কংগ্রেসের জয়ী প্রার্থী বায়রন বিশ্বাস। এবার তাঁর বিরুদ্ধে ভয়ঙ্কর অভিযোগ উঠল। দায়ের হয়েছে এফআইআর। তৎপরতার সঙ্গে তদন্তে নেমে পড়েছে মুর্শিদাবাদের শমসেরগঞ্জ থানার পুলিশ। আজ, বুধবার দুপুর ১টায় বিধানসভায় শপথ নেবেন বায়রন। তার আগে এই ঘটনায় বিপাকে পড়েছেন সাগরদিঘির নবনির্বাচিত বিধায়ক। বায়রনকে নিয়ে অস্বতিতে পড়েছে কংগ্রেস, বামেরাও।
এদিকে শপথ গ্রহণের আগেই অবিলম্বে রাস্তায় বায়রন বিশ্বাসকে গ্রেফতরের দাবি তুললেন তৃণমূল রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুনাল ঘোষ। দলীয়ভাবে তৃণমূলের তরফে এই দাবি তোলা হয়, আইনি বিষয়টা অবশ্য প্রশাসনের ব্যাপার। একই সঙ্গে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী এবং বাম নেতাদের প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার দাবি তোলা হয় তৃণমূলের তরফ। কারণ, বায়রন বিশ্বাস বাম সমর্থিত কংগ্রেসের জয়ী প্রার্থী। সাগরদিঘির মানুষেরও দৃষ্টি আকর্ষণ করে কুনাল ঘোষ ভয়ঙ্কর অভিযোগ তুলে বলেন, এমন একজনের বিধায়ক কোন অধিকার নেই। এটা গণতন্ত্রের পক্ষে লজ্জার। ফোন করে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ দিয়ে শুধু হুমকি দেওয়াই নয়, মা-বোনেদের সম্মান নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছেন নব নির্বাচিত বিধায়ক। কুণালের আরও দাবি, বাংলায় গণতন্ত্র রয়েছে বলেই এখনও বাইরে ঘুরে বেড়াচ্ছেন বায়রন বিশ্বাসের মত অপসংস্কৃতিসম্পন্ন কংগ্রেস নেতা।
ঠিক কী ঘটেছে? তৃণমূলের ধুলিয়ান টাউন সভাপতি সঞ্জয় জৈনকে “অশ্রাব্য গালিগালি” এবং “প্রাণনাশের হুমকি” দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সাগরদিঘির সদ্য জয়ী কংগ্রেস বিধায়ক বায়রনের বিরুদ্ধে। একটি অডিও ক্লিপকে হাতিয়ার করে এই অভিযোগ করেছেন তৃণমূল নেতা। এফআইআর দায়ের হতেই তৎপরতার সঙ্গে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, খতিয়ে দেখা হচ্ছে ওই অডিও।
তদন্তে নেমে অভিযোগকারী তৃণমূল নেতা সঞ্জয় জৈনের ধুলিয়ানের বাড়িতে যান তদন্তকারীরা। কথা বলেন সঞ্জয় এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে। রেকর্ড করা হয় সকলের বক্তব্য। তৃণমূল নেতা সঞ্জয় জৈন, “উনি (বাইরন বিশ্বাস) এক জন প্রভাবশালী ব্যবসায়ী। সেইসঙ্গে এখন বিধায়কও। উনি আমাকে এ ভাবে হুমকি দেওয়ায় আমি নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছি। আমি চাই বায়রনের বিরুদ্ধে পুলিশ দ্রুত তদন্ত শেষ করে শাস্তির ব্যবস্থা করুক।”
শংকর মাধ্যমকে সেই অডিও ক্লিপের খানিকটা অংশ শুনিয়ে দাবি করেন, যদি অধীর চৌধুরী এবং কংগ্রেস সেইসঙ্গে বামেরা বায়রনের এমন আচরণের জন্য ক্ষমাপ্রকাশ না করেন, তাহলে ধরে নিতে হবে বায়রনের এই ভাষা সন্ত্রাসকে তাঁরাও সমর্থন করছেন। সাগরদিঘির নবনির্বাচিত বিধায়কের অপসংস্কৃতি নিয়ে দিল্লির কংগ্রেস শীর্ষ নেতাদেরও একই বার্তা দেন কুনাল।
Be the first to comment