চাকরি দেওয়ার নামে লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারণা ও আত্মসাতের অভিযোগ উঠল এক বিজেপি নেতার নামে। অভিযোগ, হলদিয়ার বিভিন্ন শিল্পসংস্থায় চাকরি দেওয়ার নামে ৩৯ জন বেকার যুবকের কাছ থেকে ৩২ লক্ষ টাকা তুলেছিল এই বিজেপি নেতা। নাম মোহনলাল মাইতি। তিনি চণ্ডীপুর থানার চৌখালি গ্রাম পঞ্চায়েতের বলিবাড় বুথের বিজেপির সভাপতি। পাশাপাশি দলের চৌখালি পঞ্চায়েতের সহ সভাপতি। গ্রাম কমিটির সম্পাদক। বিজেপি বিরোধীদের দাবি, এই মোহনলাল মাইতি আসলে দলবদলু বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী ঘনিষ্ঠ।
এখানেই শেষ নয়। মোহনলাল মাইতি বাম জমানায় সিপিএমের ১০ বছরের পঞ্চায়েত সদস্যও ছিলেন। পরবর্তীতে দলবদল করে বর্তমানে বিজেপির নেতা। হলদিয়া শিল্পসংস্থা ছাড়াও রাজ্য সরকারের বিভিন্ন অফিসে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নামে তাঁর বিরুদ্ধে টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
জানা গিয়েছে গত ৮ মার্চ বলিবাড় গ্রামেরই অশোক জানা ছেলেকে স্বাস্থ্য দফতরের গ্রুপ-ডি চাকরি দেওয়ার নামে তাঁর বিরুদ্ধে সাড়ে ৬ লক্ষ টাকা নেওয়ার অভিযোগ করেছেন। শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ ওই বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে চণ্ডীপুর থানায় এফআইআর হয়েছে। হলদিয়া শিল্পসংস্থায় চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নামে এখনও পর্যন্ত ৩৯ জন বেকার যুবকের কাছ থেকে ৩২ লক্ষ টাকা তুলেছিলেন বলে অভিযোগ। প্রতারণা প্রকাশ্যে আসার পর মোহনলাল মাইতির দাবি, তিনি সেই টাকা নন্দীগ্রাম-২ ব্লকের হানুভুঁইঞা গ্রামের এক ব্যক্তিকে দিয়েছিলেন। সেই ব্যক্তি টাকা লোপাট করে দিয়েছে। কারও চাকরি হয়নি। চাপে পড়ে জমি বিক্রি করে প্রতারিতদের ২৩ লক্ষ টাকা আপাতত ফেরাতে পেরেছেন শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ এই বিজেপি নেতা।
উল্লেখ্য, রাজনৈতিক হস্তক্ষেপে হলদিয়া শিল্পাঞ্চলে নিয়োগ বন্ধ হতেই বেকায়দায় পড়ে যান বিজেপি নেতা মোহনলাল। চাকরির প্রতিশ্রুতি নেওয়া টাকা ফেরতের জন্য চাকরিপ্রার্থীরা বাড়িতে আসে। অবশেষে ৩২ লক্ষ টাকার মধ্যে ২৩ লক্ষ টাকা ফিরিয়েছেন।এজন্য বেশকিছু জমি বিক্রি করতে হয়েছে বলে মোহনলালকে।
Be the first to comment