সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদব, ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েকের পর এবার জনতা দল সেকুলারের(JDS) নেতা তথা কর্নাটকের(Karnataka) প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এইচ ডি কুমারস্বামীর(HD Kumarswami) সঙ্গে সাক্ষাত করলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। সামনেই কর্নাটকে বিধানসভা নির্বাচন এর পর ২০২৪ সালে লোকসভা নির্বাচন(Parliament Election) এই পরিস্থিতিতে মমতা ও কুমারস্বামীর এই সাক্ষাত নিশ্চিতভাবেই তাৎপর্যপূর্ণ। একইসঙ্গে মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যে ৩ আঞ্চলিক দলের শীর্ষ নেতার সঙ্গে সাক্ষাত করলেন তৃণমূল নেত্রী।
শুক্রবার বিশেষ বিমানে কলকাতায় আসেন এইচ ডি কুমারস্বামী। বিমানবন্দর থেকেই সোজা কালীঘাটে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাড়ি যান তিনি। মমতার বাসভবনে প্রায় ৩০ মিনিট বৈঠক হয় দুই জনের। তবে কি বিষয়ে দুজনের মধ্যে আলোচনা হয়েছে সে বিষয়ে সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খোলেননি কেউই। তৃণমূলের তরফে এই বৈঠকের যে ছবি প্রকাশ্যে আনা হয়েছে সেখানে দেখা গিয়েছে কুমারস্বামীর সঙ্গে এই বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, এদিনের বৈঠকে সম্ভাব্য জোট প্রক্রিয়ার পাশাপাশি কর্ণাটকের আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন নিয়েও আলোচনা হয়েছে দুই শীর্ষ নেতৃত্বের।
জানা গিয়েছে, এদিন জেডিএস নেতা মূলত তৃণমূল (TMC) নেত্রীকে কর্ণাটকের বিধানসভা নির্বাচনে প্রচারে যাওয়ার জন্য মমতাকে আমন্ত্রণ জানাতে এসেছিলেন। আসলে মাস দু’য়েকের মধ্যেই কর্ণাটকের বিধানসভা নির্বাচন। তাতে কংগ্রেস (Congress) এবং বিজেপির (BJP) পাশাপাশি লড়াইয়ে আছে কুমারস্বামীর জেডিএসও (BJP)। কুমারস্বামী চাইছেন, মমতাকে প্রচারে নিয়ে গিয়ে চমক দিতে। তবে তৃণমূল নেত্রী ব্যস্ততার কারণে নিজের অপারগতার কথা কুমারস্বামীকে জানিয়েছেন। মমতা কর্ণাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে জানিয়েছেন, কর্ণাটকে যেভাবেই হোক বিজেপিকে হারাও। ২০২৪-এ বিজেপিকে হারাতে হলে ২০২৩ সাল থেকেই লড়াইটা শুরু করতে হবে। আগের বার বিজেপি জোট ভেঙে কর্ণাটকে সরকারে এসেছিল। এবার যেন সেটা না হয়।
Be the first to comment