নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে কার্যত জেরবার সিপিএম। চিরকুটে চাকরি চুরি নিয়ে বাম আমলের একের পর এক কুকীর্তি ফাঁস হচ্ছে প্রতি নিয়ত। যেখানে সিপিএমের প্রাক্তন ও বর্তমান শীর্ষ নেতাদের নাম জড়াচ্ছে। যাঁদের মধ্যে অনেকে প্রয়াত হয়েছেন, আবার সুজন চক্রবর্তী, সুশান্ত ঘোষ, মহম্মদ সেলিমদের মতো নেতাদেরও নাম উঠে আসছে। সেই তালিকায় এবার নয়া সংযোজন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা সিপিএমের প্রাক্তন রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্রের। সিপিএম জমানায় সূর্যবাবু পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার বিভিন্ন সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিনা ইন্টারভিউতে লোক ঢুকিয়ে ছিলেন। বাম আমলে হওয়া সেই নিয়োগ দুর্নীতির প্রমাণও রয়েছে বলে তৃণমূলের তরফে দাবি করা হয়েছে।
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার তৃণমূলের কোঅর্ডিনেটর অজিত মাইতির দাবি, সূর্যকান্ত মিশ্র ও সুশান্ত ঘোষরা জেলায় ৬৮০ জনকে ইন্টারভিউ ছাড়া চিরকুটে নিয়োগ দিয়েছিলেন। ঘুরপথে চাকরি পাওয়া অযোগ্যদের মধ্যে সূর্যবাবু ও সুশান্তবাবুর পরিবারের লোকজন রয়েছে বলেও অভিযোগ।
নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে ফের চাঁচাছোলা আক্রমণ করতে গিয়ে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী থেকে সূর্যকান্ত মিশ্র, সুশান্ত ঘোষদের একযোগে নিশানা করেছেন জেলা তৃণমূলের কো-অর্ডিনেটর। অজিত মাইতির দাবি, সুশান্ত ঘোষের পরিবারের ২২ জন সদস্য ইন্টারভিউ ছাড়া বেআইনিভাবে চাকরি পেয়েছেন। তাঁর আরও দাবি, বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩০০ জনকে চাকরি দেওয়া হয়েছে ইন্টারভিউ ছাড়াই। মেদিনীপুর কলেজে ইন্টারভিউ ছাড়া ৮২ জনকে বেআইনিভাবে চাকরি দেওয়া হয়েছে। হিসাব করে পাওয়া গিয়েছে সারা জেলায় ৬৮০ জনকে বেআইনি নিয়োগ দিয়েছে সিপিএম। এবং সেই প্রমাণও আছে। তৃণমূল নেতার এমন দাবির পর জেলা ও রাজ্য রাজনীতিতে সিপিএমের চিরকুটে চাকরি চুরি নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
Be the first to comment