সরকারি সাংসদ পদ হারাতেই রাহুল গান্ধীকে সরকারি বাংলো ছাড়ার নির্দেশ দিয়ে চিঠি পাঠিয়েছে কেন্দ্র সরকার। সেইমতো বাংলো ‘শীঘ্রই’ ছাড়বেন বলেও আশ্বাস দিয়েছেন সোনিয়া পুত্র। তবে সরকারি বাংলো ছাড়ার আগেই রাহুলকে নিজের বাড়ি লিখে দিলেন দিল্লির কংগ্রেস নেত্রী। তাঁর বক্তব্য, প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতিকে কেন্দ্র সরকার সরকারি বাংলো থেকে উৎখাত করলে, করতেই পারে। কিন্তু সাধারণ মানুষের মন থেকে রাহুলকে উৎখাত করা যাবে না।
২০০৪ থেকে লোকসভার সাংসদ রাহুল গান্ধী। সেই সূত্রেই ২০০৫ সাল থেকে ১২ তুঘলক রোডে তাঁর জন্য সরকারি বাংলো বরাদ্দ করা হয়েছিল। তবে ‘মানহানির মামলায়’ রাহুল সাজা পেয়েছেন। তাই খেলা গিয়েছে সাংসদ পদ। স্বভাবতই রাহুলকে সরকারি বাংলোও ছেড়ে দিতে হবে। গত সোমবার রাহুলকে লোকসভার সচিবালয় থেকে নোটিশ পাঠিয়ে জানানো হয়, সাংসদ হিসেবে তিনি যে সরকারি বাংলোয় থাকছেন, সেই ১২, তুঘলক লেনের বাড়ি ২২ এপ্রিলের মধ্যে খালি করতে হবে।
চিঠির উত্তরে রাহুল গান্ধী অবশ্য জানিয়েছেন, তিনি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ওই বাংলো খালি করে দেবেন। নোটিশ গ্রহণের পর লোকসভার সচিবালয়ের উদ্দেশে জবাবি চিঠিতে তিনি লেখেন, “গত চারবারের সাংসদ হওয়ায় এই জায়গায় অনেকটা সময় কাটিয়েছি। যেখানে জীবনের নানা স্মৃতি রয়েছে। নিশ্চিতভাবেই নোটিশের নির্দেশ মেনেই কাজ করব।” এই পরিস্থিতিতে রাহুলের পাশে দাঁড়িয়ে তাঁকে নিজের বাড়িই লিখে দিলেন দিল্লির কংগ্রেস নেত্রী।
কংগ্রেসের দাবি, দিল্লির মহিলা কংগ্রেস সেবাদলের সভাপতি রাজকুমারী গুপ্ত তাঁর নিজের চারতলা বাড়িটি রাহুলকে লিখে দিয়েছেন। রাজকুমারী জানিয়েছেন, মঙ্গলপুরী এলাকায় তাঁর বাড়িটি ইন্দিরা গান্ধীর আমলে পাওয়া। তিনি এও জানিয়েছেন, সরকারি বাংলো ছাড়ার পর রাহুলের যাতে দিল্লিতে থাকাতে কোনও সমস্যা না হয়, সেকারণেই নিজের বাড়িটি তিনি তুলে দিচ্ছেন। কংগ্রেস নেত্রী বলছেন, “মোদিজি, রাহুলজিকে বাড়ি থেকে উৎখাত করতেই পারেন। কিন্তু মানুষের হৃদয় থেকে নয়।”
Be the first to comment