মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নাকি ল্যান্ডলাইন থেকে অমিত শাহকে চার চারবার ফোন করেছিলেন। এমনটাই দাবি করেছিলেন দলবদলু বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। পাল্টা মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেছিলেন, এই ঘটনা সম্পূর্ণ মিথ্যা, কুৎসা, অপপ্রচার। মমতা জোর গলায় জানিয়েছেন, অমিত শাহকে ফোন করে দলের সর্বভারতীয় তকমা ফিরিয়ে দেওয়ার অনুরোধ করেছেন অমিত শাহকে, সেটা প্রমাণ করতে পারলে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেবেন তিনি। এরপর শুভেন্দু বলেছিলেন,
তাঁর সেই পূর্ব দাবি অনুসারে, আজ বৃহস্পতিবার
ফোন করার প্রমাণ তথ্য সহ সকলের সামনে নিয়ে আসবেন।
এদিন বিধানসভায় একটি সাংবাদিক বৈঠকও করেন শুভেন্দু। উপস্থিত সাংবাদিকরা সকলেই আগ্রহে ছিলেন, শুভেন্দু কী তথ্য-প্রমাণ খাড়া করেন তা জানার জন্য। কিন্তু যা হওয়ার তাই হয়েছে। সাংবাদিক বৈঠকে মমতা-অমিত শাহ ফোনালাপের কোনও তথ্য-ই দিতে পারেননি শুভেন্দু।
বিষয়টি শেষপর্যন্ত তিনি এড়িয়ে গিয়েছেন। এবং তা নিয়েই শুভেন্দুকে কটাক্ষ করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে শুভেন্দু সম্পর্কে অভিষেক বলেন, “উনি প্রত্যেকবার একটা করে ট্যুইট করে বলেন বোমা ফাটাব। ওই কথা শুনে আপনারা একদিন ধরে লাফালাফি করেন। শেষে দেখেন কিছু নেই। ফাঁপা বেলুন। গ্যাস বেরিয়ে চুপসে গেছে।” অভিষেকের সংযোজন, “উনি (শুভেন্দু অধিকারী) বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন আড়াই বছর হল। প্রায় হাজারদিন ধরুন। এর মধ্যে তিনি হাজারটি সভা, প্রেস কনফারেন্স করেছেন। একটা সভা দেখান যেখানে উনি আমাকে আক্রমণ করেননি। এক হাজার অভিযোগ করেছেন। একটা অভিযোগ প্রমাণ করে দেখান। উনি বলছেন এই মুখ্যমন্ত্রীকে প্রাক্তন করে ছাড়ব। আরে মুখ্যমন্ত্রী বলছেন অভিযোগ প্রমাণ হলে তিনি ইস্তফা দেবেন। আপনি তাহলে প্রমাণ করুন। আপনি কাল বললেন, কাল আমি ফাঁস করব। আজ বলছেন, আমি চাইছি হাইকোর্টে মামলা হোক। আরে হাইকোর্টে তো মামলা হবেই। আপনাকে ল্যাজে গোবরে করব। কোনও বেঞ্চ আপনাকে বাঁচাবে না। শুধু তারিখের পর তারিখ দিয়ে মিথ্যা-কুৎসা রটানোই ওনার কাজ। এভাবে রাজনীতি হয় না।”
অভিষেক আরও বলেন, ”শুভেন্দু অধিকারী ভাষার মাধুর্য নিয়ে কথা বলছেন। আপনি মুখ্যমন্ত্রীকে ফুফু, খালা বলেন। আপনার কাছে ভাষা শিখতে হবে! ব্যক্তিগত স্তরে এমনটাই নেমে গিয়েছেন। উনি আমার নাম নিয়ে বলুন ওকে কোর্টে নিয়ে গিয়ে ল্যাজেগোবরে করব। আমার বিরুদ্ধে উনি ভাববাচ্যে কথা বলেন। উনি ট্যুইটার নেতা।”
Be the first to comment