ইদের সকালে রেড রোডের অনুষ্ঠান শেষের পর রিজওয়ানুর রহমানের বাড়িতে গেলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইদের শুভেচ্ছা জানাতেই পার্ক সার্কাসে রিজওয়ানুর রহমানের বাড়িতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সঙ্গে ছিলেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং স্থানীয় বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। রিজওয়ানুরের মা-সহ পরিবারের অন্যান্য লোকজনের সঙ্গে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী।
এদিন প্রথমে রিজওয়ানুরের পার্ক সার্কাসের বাড়ির সামনে বেদিতে মালা দেন মুখ্যমন্ত্রী। এরপর বাড়িতে গিয়ে কথা বলেন রিজওয়ানুরের মা ও দাদা রুকবানুর রহমান ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে। গতবছরও ইদের দিন তাঁর মা পরিবারের লোকেদের শুভেচ্ছা জানাতে রিজওয়ানুরের বাড়িতে গিয়েছিলেন মমতা-অভিষেক।
যুগ বদলায়, বদলে যায় সময়। কিন্তু সন্তানহারা মায়ের তীব্র যন্ত্রণা বদলায় না। প্রায় ১৬ বছর আগে কলকাতার রাজপথ উত্তাল হয়ে উঠেছিল এক তরতাজা যুবকের অস্বাভাবিক মৃত্যুকে কেন্দ্র করে। তখন বাম জমান। দিনটা ছিল ২০০৭ সালের ২১ সেপ্টেম্বর। পাতিপুকুরে রেললাইনের ধার থেকে ছেলের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। খবর শুনে, কাঁদতে কাঁদতে ‘ইনসাফ’ চেয়েছিলেন কড়েয়ার রিজওয়ানুর রহমানের মা। তাঁর মৃত্যুর ঘটনায় বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য-এর পুলিশের বড় কর্তাদের দিকে আঙুল উঠেছিল। অভিযোগ ছিল চক্রান্তের।
সেই সময় দোর্দন্ডপ্রতাপ বিরোধী নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রিজওয়ানুরের মৃত্যুর বিচার চেয়ে পথে নেমেছিলেন।
এরপর গঙ্গা দিয়ে বয়ে গিয়েছে অনেক জল। বিরোধী নেত্রী থেকে মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে রিজওয়ানুর এবং তাঁর পরিবারের লোকেদের ভুলে যাননি তিনি।
Be the first to comment