জনসংযোগ যাত্রা শুরু করেছে তৃণমূল। কোচবিহারে ‘নবজোয়ার যাত্রা’র প্রথম দিন বিএসএফের গুলিতে নিহত দুই যুবকের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টায় মঙ্গলের সকালেই দিনহাটার গীতালদহের বাসিন্দা বামনহাটের সাহেবগঞ্জ এলাকায় অভিষেকে তাঁবুতে যান নিহত প্রেমকুমার বর্মন এবং মোজাফফর রহমানের পরিবারের সদস্যরা। তাঁদের সঙ্গে কথা বলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।তাঁদেরও খোঁজখবর নেন।অভিষেকের সঙ্গে সামনাসামনি কথা বলে খুশি নিহত দুই যুবকের পরিবার।
এদিন সকাল ১০টা নাগাদ মাধাইকল কালীবাড়িতে পুজো দেন অভিষেক। এরপর গ্রামে গিয়ে গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। তাঁদের অভাব- অভিযোগ খুঁটিয়ে জিজ্ঞেস করেন। অভিষেককে সামনে পেয়ে আপ্লুত গ্রামবাসীরা। অভিষেককে দেখতে রাস্তায় মানুষের ঢল। সকাল ১১টা নাগাদ আবার সাহেবগঞ্জ ফুটবল মাঠে দিনহাটা(২) এবং দিনহাটা ১(বি) ব্লকের ১৬টি অঞ্চল নিয়ে জনসভা করেন তিনি।
বেলা ১টা নাগাদ অভিষেক পৌঁছে যাবেন গোসানিমারি হাই স্কুলের মাঠে। দিনহাটা ১(এ) এবং সিতাই ব্লকের ১৭টি অঞ্চল নিয়ে সেখানে তাঁর জনসভা করার কথা। বিকেল ৩টেয় পঞ্চায়েত সমিতির মাঠে আরও একটি জনসভা রয়েছে তাঁর। শীতলখুচি ব্লকের ৮টি অঞ্চল নিয়ে সেখানে আলোচনা হবে।
এরপর বিকেল ৫টা নাগাদ অভিষেক থাকবেন মাথাভাঙা কলেজ ময়দানে। মাথাভাঙা, দিনহাটা, শীতলখুচি, সিতাই এবং মেখলিগঞ্জ— পাঁচটি বিধানসভা কেন্দ্রের মোট ৭৫ অঞ্চলের সভাপতি এবং চেয়ারম্যানদের নিয়ে সভা করবেন তিনি। এই সভায় থাকবেন গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান এবং বুথ সভাপতিরাও। প্রত্যেক এলাকার পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য, যুব এবং মহিলা সভাপতি এবং শাখা সমিতির সদস্যেরাও অভিষেকের বিকেলের সভায় হাজির থাকবেন। এই সভায় আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হবে।
প্রসঙ্গত, সোমবার জনসংযোগ যাত্রার শুরুতে অভিষেক স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন, সন্ত্রাসহীন পঞ্চায়েত ভোট করাই তাঁদের চ্যালেঞ্জ। তার জন্য চাই সাধারণ মানুষের দ্বারা নির্বাচিত প্রার্থী।তাই ভাল মানুষের খোঁজে তিনি পথে নামছেন বলে জানিয়ে দিয়েছেন অভিষেক।
Be the first to comment