দুর্ঘটনার কবলে টলিপাড়ার অভিনেতা দম্পতি। বুধবার সন্ধেয় কলকাতার মা উড়ালপুলে পথ দুর্ঘটনার কবলে পড়লেন অভিনেতা ও থিয়েটার নির্দেশক সপ্তর্ষি মৌলিক। সঙ্গে গাড়িতে ছিলেন তাঁর স্ত্রী তাঁর স্ত্রী ও ‘নান্দীকার’ খ্যাত সোহিনী সেনগুপ্ত।যদিও অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচেন তাঁরা। সমাজমাধ্যমে দুর্ঘটনার কথা জানান সপ্তর্ষি।
এক সংবাদমাধ্যমে অভিনেতা সপ্তর্ষি জানান, দুর্ঘটনার হাত থেকে যে বেঁচেছেন, তা তাঁদের গাড়িচালকের সৌজন্যে। না হলে উড়ালপুল থেকে গাড়ি উল্টে যাওয়ার বা অন্য এক বাইককে ধাক্কা মারার সম্ভাবনা প্রবল ছিল।
কী হয়েছিল দুর্ঘটনার সময়?
সপ্তর্ষি বলেন, ‘‘আমরা সবাই জানি উড়ালপুলে গাড়ি চালানোর একটা গতি বেঁধে দেওয়া আছে। আমরা যখন মা উড়ালপুল দিয়ে যাচ্ছিলাম, তখন হঠাৎ করে একটা গাড়ি ভুল দিক থেকে ভীষণ গতিতে এসে আমাদের ওভারটেক করার চেষ্টা করে। ওভারটেক করে যাওয়ার সময়ই ওই গাড়িটা আমাদের গাড়িকে ধাক্কা মেরে চলে যায়। ওই গাড়িটা আমাদের ডান দিক থেকে এসে ধাক্কা মারে। সাধারণ ভাবে উড়ালপুলের বাঁ দিক দিয়ে বাইক চলাচল করে। আমাদের গাড়িচালক ধাক্কা খেয়ে বাঁ দিকে গাড়িটা চাপেন। আমাদের গাড়িটা কয়েক মুহূর্তের জন্য বাইকে ধাক্কা মারতে মারতে বেঁচে গিয়েছে।’’ সপ্তর্ষি আরও বলেন, ‘‘সামনে কিছুটা এগিয়ে যখন গাড়িটা দাঁড় করাই, ওই গাড়িচালকের মনে কোনও আক্ষেপ তো নেইই, বরং তিনি বলছেন, তাঁর কোনও দোষই নেই। এমনকি আমার ধারণা, তিনি মত্ত অবস্থায় ছিলেন। তাঁর মুখ থেকে গন্ধ বেরোচ্ছিল। একেবারেই অসংলগ্ন কথাবার্তা বলছিলেন। আর এতটাই ঔদ্ধত্য যে, সামান্য ক্ষমা চাওয়ার মানসিকতা নেই।’’ সপ্তর্ষির দাবি, এর পরেও নাকি তাঁকে ধাক্কা দিয়ে চলে যাচ্ছিলেন ওই গাড়িচালক। শেষে একপ্রস্ত কথা কাটাকাটিও হয় তাঁদের দু’জনের মধ্যে। ওই গাড়ির একটি ছবি তুলে সমাজমাধ্যমে পোস্ট করেছেন অভিনেতা। সেই পোস্টে ট্যাগ করেছেন কলকাতা পুলিশকেও।
বড়সড় দুর্ঘটনার পরও আপাতত সুরক্ষিত রয়েছেন অভিনেতা সপ্তর্ষি ও অভিনেত্রী সোহিনী সেনগুপ্ত। তাঁদের আশা কলকাতা পুলিশ এর উপযুক্ত শাস্তি নেবেন।
Be the first to comment