কালিয়াগঞ্জের অশান্তির ঘটনার জেরে বড় পদক্ষেপ নিল প্রশাসন। রায়গঞ্জের কালিয়াগঞ্জ থানার ওসি দীপাঞ্জন দাসকে সরিয়ে দিয়ে পাঠানো হল শিলিগুড়ি জিআরপি-তে। তাঁর বদলে, শিলিগুড়ি জিআরপি থেকে কালিয়াগঞ্জে নতুন পোস্টিং পেয়ে এলেন সুবলচন্দ্র ঘোষ।
গত সপ্তাহের শুক্রবার, ২১ এপ্রিল কালিয়াগঞ্জে এক ছাত্রীকে ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগ ঘিরে উত্তাল হয়ে ওঠে গোটা রাজ্য-রাজনীতি। এই ঘটনায় চার জন এএসআই পদমর্যাদার পুলিশ আধিকারিককে সাসপেন্ড করা হয়েছিল। তাঁদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত চলবে বলেও জানিয়েলেন জেলার পুলিশ সুপার সানা আখতার। কিন্তু ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়।যাকে ঘিরে আরও অশান্তি ছড়ায় কালিয়াগঞ্জে।
ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যায়, ওই নাবালিকার দেহ রাস্তায় ফেলে, বাঁশে বেঁধে টেনে-হিঁচড়ে নিয়ে যাচ্ছে কয়েকজন পুলিশকর্মী। এর ফলে নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। ঘটনার পরে যত সময় যায়, ততই অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে এলাকা। দফায় দফায় পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন মৃতার পরিজন ও এবিভিপি সমর্থকরা।
সোমবার জেলা পুলিশ সুপার সানা আখতার সাংবাদিক বৈঠক করে জানান, নাবালিকার দেহ টেনে-হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় চার জন পুলিশকর্মীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তও করা হবে। এতে অবশ্য বিজেপি খুশি নয়।পুলিশ সুপারেরই সাসপেন্ড হওয়া প্রয়োজন, কারণ ওই চার নিচুতলার পুলিশকর্মী যা করেছেন তা উপরমহলের নির্দেশেই করেছেন। উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের বাঁচাতে নিচুতলার পুলিশকর্মীদের বলির পাঁঠা করার চেষ্টা চলছে বলেও অভিযোগ ওঠে। শেষমেশ সরানো হল ওসি-কে।
Be the first to comment