গরু পাচার মামলায় গ্রেফ.তার করা হয়েছে অনুব্রত মণ্ডলের কন্যা সুকন্যা মণ্ডলকে। গত বুধবার তাকে নিজেকে হেফাজতে নেওয়ার পর বৃহস্পতিবার প্রথম বার সুকন্যাকে কোর্টে পেশ করা হয়। প্রাথমিকভাবে তিন দিনের ইডি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছিল দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্ট। সেই মতো তিনদিনের ইডি হেফাজতের পর আজ রবিবার ভার্চুয়ালি সুকন্যাকে আদালতে পেশ করেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা।
রবিবার ছুটির দিন হওয়ায় এদিন সুকন্যাকে বিশেষ বিচারক নরেশকুমার লাকা-র এজলাসে এই মামলার শুনানি হয়। সুকন্যার তরফে জামিনের আবেদন বা ইডি-র তরফে জামিনের বিরোধিতা কোনটাই এদিন করা হয়নি। গরু পাচার মামলায় অনুব্রত কন্যার সরাসরি যোগাযোগ আছে কিনা তা নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা রয়েছে। তদন্তকারী সংস্থার জিজ্ঞাসাবাদে সুকন্যা সহযোগিতা করেননি বলেই অভিযোগ। একাধিক বার তিনি ইডির তলব এড়িয়েছেন। পাশাপাশি তাঁর যে বিশাল সম্পত্তি এর উৎস কোথায় সেই সম্পর্কিত কোন তথ্যই আধিকারিকদের সামনে তুলে ধরতে পারিনি অনুব্রত কন্যা। এই বিষয়ে বিশদে জানতে সুকন্যাকে আরও জেরা করা প্রয়োজন। সেই কারণে তাঁকে নিজেদের হেফাজতে না চাইলেও, জেল হেফাজতের আবেদন জানানো হয় ইডির তরফে।
ইডি-র আইনজীবী জানান, সুকন্যার নামে কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি ও একাধিক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের হদিশ মিলেছে। গরুপাচার থেকেই এই টাকা বলে তাঁদের অনুমান। এইসব শোনার পরেই ১২ দিনের সুকন্যা মন্ডলের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয় দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্ট। আগে থেকে জল্পনা ছিল যে বাবার মতো তিহাড় জেলে ঠাঁই পেতে চলেছেন সুকন্যা মণ্ডল। এবার সেই জল্পনাই সত্যি হওয়ার মুখে। সূত্রের খবর সুকন্যা জেলে বই নিয়ে যাওয়ার অনুমতি চেয়েছেন। পাশাপাশি তিনি তাঁর বাবা অনুব্রত মণ্ডল এবং এক ঘনিষ্ঠ বন্ধুর সঙ্গে ১০ মিনিট কথা বলার আর্জি জানান। এক্ষেত্র জেল কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নেবে বলে স্পষ্ট জানিয়ে দেন বিচারক।
Be the first to comment