বাংলার দেখানো পথে হেঁটেই কর্নাটক বিজেপি দখলমুক্ত। কর্নাটকের জয় নিয়ে এই মন্তব্য করেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার, তৃণমূলে জনজোয়ার কর্মসূচিতে এই মুহূর্তে পূর্ব বর্ধমানের মন্তেশ্বরে রয়েছেন অভিষেক। সেখানেই জনসভার আগে তিনি বলেন, “আমাদের নেত্রী নিজে কর্নাটকের মানুষের প্রতি আবেদন করেছিলেন, বিজেপিকে হারাতে যাকে ইচ্ছে ভোট দিন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এটা খুব স্পষ্টভাবে বলেছিলেন। বাংলায় একটা অভিযান চলেছিল, নো ভোট টু বিজেপি। কার্যত সেটাই এখন কর্নাটকে।“
এরপরেই বিজেপির বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ করেন অভিষেক। তাঁর কথায়, “এই যে ধর্মের সুড়সুড়ি, বিচ্ছিন্নতাবাদের রাজনীতি, মানুষকে বিভ্রান্ত করে এই যে ধর্মের ভিত্তিতে প্রচার, লাভ জিহাদ, মানুষ কী খাবে, কী পরবে এসব কখনও রাজনীতির প্রচার হতে পারে না।“ তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের মতে, ভোটের প্রচারে থাকবে উন্নয়ন। কিন্তু গেরুয়া শিবিরের এইসব নিয়ে কোনও মন্তব্য নেই। “রাজনৈতিক ইস্যুর সামনের দিকে থাকবে রাস্তাঘাট, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থান এসব। এনিয়ে বিজেপির মুখে কোনও কথা নেই। বিজেপি বারবার ধর্মের নামে মানুষকে ভুল বুঝিয়েছে।“
২০২১-এর বাংলার বিধানসভা নির্বাচনের উল্লেখ করেন অভিষেকে জানান, ধর্মের রাজনীতির প্রত্যাখান করার শুরু হয়েছিল বাংলার মাটিতে। ২০২১ সালে বিজেপিকে একা হাতে রুখে দিয়েছিললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। “অমিত শাহ তো বলেছিলেন, দেড়শো সিট নিয়ে বাংলায় ক্ষমতায় আসব। কর্নাটকে তা উল্টে গিয়েছে। মানুষের পালস এরা বোঝে না। বাংলার মানুষ হিসেবে আমরা গর্বিত যে বাংলা যে পথটা দেখিয়েছিল সেটা কর্নাটকের মানুষ অনুসরণ করেছে। মহামতি গোখলে যা বলেছিলেন তা ফলে গেল। বাংলা যেটা ২০২১ সালে করেছিল কর্নাটক তা ২০২৩ সালে করে দেখাল। আর গোটা ভারত তা ২০২৪ সালে তা করবে। এই বিশ্বাস আমার রয়েছে। এদের পতনের শুরু হয়ে গিয়েছে। যাওয়া শুধু এখন সময়ের অপেক্ষা।“
কর্নাটকে বিজেপির পতন দিয়েই ২০২৪-এ লোকসভা নির্বাচনে কেন্দ্র থেকে বিজেপির বিদায়ঘণ্টা বেজে গিয়েছে- এটাই মত অভিষেকের।
Be the first to comment