পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচারে গিয়ে শনিবার আলিপুরদুয়ারের মাটি থেকে বিজেপির ‘আচ্ছে দিন’কে তুলোধনা করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্য তথা দেশজুড়ে বিজেপি তথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আচ্ছে দিনের নমুনা তুলে ধরে অভিষেক জানালেন, যদি চান আচ্ছে দিন পদ্মের পাপড়ি ঝরিয়ে দিন। একইসঙ্গে এদিন অভিষেকের নিশানায় ছিলেন আলিপুরদুয়ারের বিজেপি সাংসদ জন বারলা।
শনিবার আলিপুরদুয়ারের জনসভা থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “কানে শুনে নয় চোখে দেখে ভোট দিন। আলিপুরে ৫ বিধানসভায় তৃণমূলের কোনও প্রার্থী জেতেনি। কিন্তু কেউ লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পায়নি আমাকে দেখান। একদিকে মোদি বাংলায় হেরে ১০০ দিনের কাজ, আবাসের টাকা বন্ধ করেছে, অন্যদিকে মমতা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার দিচ্ছে এটাই পার্থক্য। এই বিজেপি জিতলে আপনি আপনার অধিকার থেকে বঞ্চিত হবেন।” এরপরই এলাকার বিজেপি সাংসদকে নিশানায় নিয়ে অভিষেক বলেন, “এখানকার বিজেপি সাংসদের দুটি কাজ। দিল্লির পা চেটে নম্বর বাড়ানো আর মানুষের টাকা বন্ধ করা। আচ্ছে দিনের নমুনা ৪০০ টাকার গ্যাস ১২০০ টাকা, ভোজ্য তেল, জ্বালানি তেল, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম সাধারনের সামর্থ্যের বাইরে নিয়ে যাওয়া। অন্যদিকে তৃণমূল না জিতলেও চা শ্রমিকদের স্বার্থে লড়াই করেছে। তাঁদের অধিকারকে প্রতিষ্ঠিত করেছে।” এলাকার বিজেপি সাংসদ জন বারলাকে তোপ দেগে তিনি আর বলেন, “আচ্ছে দিনে নমুনা জন বারলার বাড়িটা দেখেছেন! আচ্ছে দিন ওদের এসেছে আপনাদের আসেনি। যদি চান আচ্ছে দিন পদ্মের পাপড়ি ঝরিয়ে দিন, কাস্তে হাতুড়ি বিদায় দিন জোড়া ফুলে ভরিয়ে দিন।
এর পাশাপাশি আলিপুরদুয়ারের সভা থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “বাংলার ১ লক্ষ ১৫ হাজার কোটি টাকা গায়ের জোরে আটকে রেখেছে ওরা। যার মধ্যে সাড়ে ৭ হাজার কোটি টাকা ১০০ দিনের কাজের বকেয়া। আবাস যোজনার ৮ হাজার কোটি টাকা। এই টাকা আমরা আদায় করবই।” একইসঙ্গে তিনি জানান, “টাকা আদায় করার ৩ টে রাস্তা আছে প্রথমত, এদের ভালো করে বলা টাকা আটকাবেন না ছেড়ে দিন। যেটা আমাদের মুখ্যমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীকে ইতিমধ্যেই অনুরোধ করেছেন, তৃণমূল সাংসদদের প্রতিনিধিদল কেন্দ্রীয় পঞ্চায়েত মন্ত্রী গিরিরাজ সিংকে আবেদন জানিয়েছেন, রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রীও দিল্লি গিয়ে গিরিরাজ সিংয়ের কাছে আবেদন জানিয়েছেন। কিন্তু কাজ হয়নি। তাহলে বাকি আর দুটো রাস্তা একটা মোদিজির পা ধরুন, নাহলে দিল্লি গিয়ে আন্দোলন করুন।” এরপর জনসাধারণের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আমরা শেষ রাস্তাটাই বেছে নেব। ১০ লক্ষ মানুষকে নিয়ে গিয়ে দিল্লির বুকে আন্দোলন করব আমরা। লড়াই করে আমাদের টাকা আমরা ফেরত আনব।” সেইসঙ্গে তিনি বলেন, “আপনাদের নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব আমার। আন্দোলনে বসার দায়িত্ব আমার। লড়াইয়ের দায়িত্ব আমার। দরকারে কৃষি ভবনের বাইরে অনির্দিষ্ট কালের জন্য ধর্না দেব। তবে তার জন্য পঞ্চায়েতে তৃণমূলকে সমর্থন করতে হবে।”
Be the first to comment