কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের দফতরে হাজিরা দিলেন শিল্পপতি অনিল আম্বানি। জানা গিয়েছে, ফরেন এক্সচেঞ্জ অ্যাক্টে তাঁর বিরুদ্ধে হওয়া একটি মামলায় তাঁকে তলব করেছিল ইডি। সোমবার সকাল ১০টা নাগাদ মুম্বইয়ের কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দফতরে দীর্ঘক্ষণ জেরার মুখে পড়েন তিনি। তবে এই প্রথম নয়, এর আগে ২০২০ সালেও ইয়েস ব্যাংকের ঋণ মামলার তদন্তে অনিল আম্বানিকে তলব করেছিল ইডি। ইডি সূত্রে খবর, FEMA লঙ্ঘন করায় অনিল আম্বানির বিরুদ্ধে তদন্ত করছে ইডি। তবে এদিন তাঁকে কী প্রশ্ন করা হয়েছে তা এখনও জানা যায়নি।
প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, অনিল আম্বানির বিরুদ্ধে ফেমার আওতায় তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে। বিদেশি মুদ্রা ব্যবহার নিয়ম ভঙ্গের অভিযোগ উঠলেই এই আইন প্রয়োগ করা হয়। সূত্রের খবর, আম্বানির সংস্থায় বিনিয়োগের সময়ে ফেমার ধারা লঙ্ঘন করা হয়েছে বলেই অভিযোগ। আর সেকারণেই এদিন শিল্পপতিকে তলব করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। অনিল আম্বানির বিরুদ্ধে কর ফাঁকি দেওয়ারও অভিযোগ হয়েছে। ইডি সূত্রে খবর, ৪২০ কোটি টাকা কর ফাঁকি দেওয়ার সেই মামলায় গতবছর সেপ্টেম্বর মাসে তাঁর বিরুদ্ধে আয়কর বিভাগকে কোনও কড়া ব্যবস্থা না নেওয়ার নির্দেশ দেয় বম্বে হাইকোর্ট।
অনিল আম্বানির বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে সুইস ব্যাঙ্কে তাঁর দুটি অ্যাকাউন্টে ৮১৪ কোটি টাকা রয়েছে। সেক্ষেত্রে তিনি কর ফাঁকি দিয়েছেন ৪২০ কোটি টাকা। ওই মামলায় গতবছর অগাস্টের শুরুতেই অনিল আম্বানিকে নোটিস পাঠায় আয়কর বিভাগ। অন্যদিকে, সম্প্রতি অনিল আম্বানির শেয়ারে বিনিয়োগ করা বিনিয়োগকারীরা বড় ধাক্কা খেয়েছেন। বিপুল লোকসানের মুখে পড়েছেন তাঁরা।
Be the first to comment