‘চন্দ্রযান-৩’ এর উৎক্ষেপণের দিনক্ষণ জানাল ইসরো

Spread the love

চাঁদের মাটিতে ভারতের ‘চন্দ্রযান’ এর সফলভাবে পা রাখার সময়কালের অপেক্ষা শুরু হয়ে গিয়েছে। আর তারই মাঝে ভারতের মহাকাশ বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্র ‘ইসরো’ জানিয়ে দিল, ‘চন্দ্রযান ৩’ আগামী ১৪ জুলাই উৎক্ষেপণ হবে। ফলে ভারতের চন্দ্রাভিযান ঘিরে শুরু হয়ে গেল সাফল্যের অপেক্ষার কাউন্টডাউন। এর আগে ১৩ জুলাই উৎক্ষেপণ করা হবে বলে জানানো হয়েছিল। 

ইসরোর তরফে জানানো হয়েছে, ১৪ জুলাই ভারতীয় সময়ে ২টো বেজে ৩৫ মিনিটে উৎক্ষেপণ হবে চন্দ্রায়ন ৩-এর। এটি চন্দ্রায়ন ২-এর পরের মিশন। অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে পাঠানো হবে চন্দ্রায়ন ৩।
ইসরোর হেভিলিফ্ট লঞ্চ ভেহিক্যাল LVM-3 এই ‘চন্দ্রযান ৩’বহন করবে। অন্ধ্রপ্রদেশের সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টার থেরে ১৪ জুলাই দুপুরে লক্ষ্যের উদ্দেশে রওনা হবে ভারতের চন্দ্রাভিযানের অঙ্গ ‘চন্দ্রযান ৩’।

সদ্যই ইসরোর তরফে জানানো হয়েছে, “চন্দ্রযান ৩’ প্রায় প্রস্তুত। ফাইনাল ইন্টিগ্রেশন ও টেস্টিং ও শেষের পথে। তবে আরও কিছু টেস্ট বাকি আছে। আর আমরা তা কিছু পরে করতে চাই। দুটি স্লট রয়েছে। একটি ফেব্রুয়ারি আর আরেকটি জুনে। আমরা জুন স্লটকে বেছে নিচ্ছি।”

উল্লেখ্য, এই মিশনটির জন্য খরচ হচ্ছে মোট ৬১৫ কোটি টাকা। এই মিশনটি শুধু যে ভারতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ তা নয়। এর ওপর নজর আছে গোটা বিশ্বের বৈজ্ঞানিক সংস্থাগুলির। কারণ আগের অভিযানগুলি থেকে পাওয়া তথ্য এবং এই অভিযানের তথ্য পরবর্তী গবেষণায় সাহায্য করবে। এই মিশনের গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন হল শেপ প্রযুক্তি। যা চাঁদের কক্ষপথ থেকে পৃথিবীর ছবি ও অন্যান্য মূল্যবান তথ্য সরবরাহ করবে বিজ্ঞানীদের।

উল্লেখ্য, এর আগে চন্দ্রযান-২ চাঁদে পাড়ির উদ্দেশে রওনা হয়। তবে সেবার সফ্ট ল্যান্ডিং ঘিরে আসে ব্যর্থতা। ১৩০ কোটির দেশের আশা কার্যত এক নিমেষে চূর্ণ হয়। তবে পুরনো ব্যর্থতার থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার  ১৪ জুলাই শুক্রবার অন্ধ্রপ্রদেশের সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে উৎক্ষেপণ হবে ইসরোর গর্বের ‘চন্দ্রযান ৩’ এর।  জানা যাচ্ছে, চাঁদের কিছু বিশেষ জায়গায় থার্মোফিজিক্যাল পদার্থ অনুসন্ধান, ল্যান্ডিং সাইটের আশেপাশে চন্দ্রের ভূমিকম্প, চন্দ্র পৃষ্ঠের প্লাজমা পরিবেশ এবং মৌলিক রচনা সংক্রান্ত কিছু তথ্যের সন্ধানে চলছে এই সাম্প্রতিক অভিযান।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*