এবার অপর্ণা সেনদের খোলা চিঠির পাল্টা সাংবাদিক বৈঠক করলেন তৃণমূলপন্থী বিশিষ্টজনেরা। সদ্য সমাপ্ত পঞ্চায়েত ভোটে বিক্ষিপ্ত অশান্তি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করেছিলেন অপর্ণা সেনরা। পাল্টা কবীর সুমনরা মনে করছেন, আসলে অপর্ণা সেনরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সহ্য করতে পারছেন না। তৃণমূলকর্মীদেরই বেশি প্রাণ যাওয়ার তত্ত্ব সামনে তুলে দাবি তৃণমূলপন্থী বিশিষ্টদের।
ভোট হিংসা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে দায়ী করে চিঠি দিয়েছিলেন একশ্রেণীর বিশিষ্টরা। এবার তার পাল্টা আসরে নামলেন তৃণমূলপন্থী বিশিষ্টরা। ভোট হিংসার জন্য মুখ্যমন্ত্রীদের দায়ী করে অপর্ণাদের চিঠির পাল্টা জবাব কবীর সুমনদের। এদিন কলকাতা প্রেসক্লাবে ‘সময়ের ডাকে’ শিরোনামে সাংবাদিক বৈঠক করেন কবীর সুমন, আবুল বাশার, পূর্ণেন্দু বসু, হরনাথ চক্রবর্তী,যোগেন চৌধুরী, অনামিকা সাহা, শান্তিরঞ্জন দাশগুপ্ত, অর্পিতা ঘোষরা।
সার্বিকভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের খতিয়ান তুলে ধরে পাশে থাকার বার্তা দেন তৃণমূলপন্থী বিদ্বজনেরা। এদিন সাংবাদিক বৈঠক থেকে তাঁরা বলেন, “ভোটে তো গোলমাল হবেই, ভোট হয়ে যায় না, করাতে হয়। নল দিয়ে ভোট হয়, যেদিন থেকে বোধবুদ্ধি, সেদিন থেকেই দেখছি। তৃণমূলকর্মীরা সবচেয়ে বেশি মারা গেছে। অল্প কয়েকটি জায়গায় হয়েছে। সেটাও কাম্য নয়।” ব্যাখ্যা কবীর সুমনের। অপর্ণাদের জবাব দিয়ে কবীর সুমনদের আরও সংযোজন, “সাদা থানের কথা ভুলি কী করে? বলতেই পারেন এই পরিবর্তন চাইনি, কিন্তু কী চেয়েছিলেন? আমি চাই ৩ হাজার বছর মমতা ক্ষমতায় থাকুন।”
উল্লেখ্য, ভোট-হিংসার জন্য মুখ্যমন্ত্রীকেই দায়ী করে খোলা চিঠি দিয়েছিলেন অশোক গঙ্গোপাধ্যায়, অপর্ণা সেন, কৌশিক সেনরা। মুখ্যমন্ত্রীকে দেওয়া ওই চিঠিতে বিশিষ্টরা উল্লেখ করেছিলেন, স্থানীয় পুলিশ-প্রশাসনে ভরসা করেই চলতে হয় কমিশন-কেন্দ্রীয় বাহিনীকে। রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে এই দায়িত্ব অস্বীকার করতে পারেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হিংসা বন্ধে অবিলম্বে রাজ্য সরকারকে উদ্যোগী হওয়ার আবেদনও করেছিলেন বিশিষ্টরা। এদিন তারই পাল্টা দিলেন তৃণমূলপন্থী বিদ্বজনেরা।
Be the first to comment