মিজোরামে দুর্ঘটনাগ্রস্ত মালদার মৃত শ্রমিকদের পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।এমনকী, রেল কর্তৃপক্ষ যাতে মৃতদের পরিবার পিছু ১০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ এবং কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে সে বিষয়েও উদ্যোগ নেওয়ার কথা জানিয়েছেন রাজ্যপাল।শুক্রবার দুপুরে কলকাতা থেকে সুপারফাস্ট ট্রেনে করে মালদা আসেন রাজ্যপাল।মিজোরামে মৃত মালদার শ্রমিকদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে পুখুরিয়া থানার কোকলামারি চৌদুয়ারী এলাকায় যান ।
রাজ্যপাল প্রথমেই একটি বাংলায় মৃত শ্রমিকদের প্রতি শোকবার্তা পড়ে শোনান। এরপর তিনি বলেন, ‘একসঙ্গে এতজন শ্রমিকের মৃত্যুতে সম্পূর্ণভাবে মর্মাহত আমি। তবে এখন কোনওরকম ভাবেই সমালোচনা করার সময় নয়। মৃত শ্রমিকদের পরিবারের পাশে থেকে সবাইকে সহযোগিতা করতে হবে’। তিনি জানান, ‘এই দুর্ঘটনার বিষয়টি জানতে পেরে আমি রেলমন্ত্রীকে টুইট করেছি।যাতে মৃতদের পরিবার কিছু ১০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ এবং আহতদের ২ লাখ টাকা ও আংশিক আহতদের ৫০ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়। আমার আশা রেলমন্ত্রক এই বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে দেখবে’।
উল্লেখ্য, মিজোরামে মালদার ২৩ জন শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ১১ জন শ্রমিকই রতুয়া ২ ব্লকের পুখুরিয়া পঞ্চায়েতের চৌদুয়ার গ্রামের বাসিন্দা। মৃতদের তালিকায় ইংরেজবাজারের পাঁচ, গাজল এবং কালিয়াচকের এক জন করে পরিযায়ী শ্রমিকের নাম রয়েছে। শুক্রবার সকালে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে মালদা যাওয়ার কথা ছিল রাজ্যপালের। কিন্তু রেকে যান্ত্রিক ত্রুটি ধরা পড়ায় অন্য রেকের ব্যবস্থা করতে কিছুটা দেরি হয়ে যায়। ফলে প্রায় ১ ঘণ্টারও বেশি সময় দেরিতে ছাড়ে ট্রেনটি। মালদায় পৌঁছে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নেন রাজ্যপাল।
নিহতদের আত্মীয়রা রাজ্যপালকে জানান, প্রত্যন্ত ওই এলাকা থেকে এক প্রকার বাধ্য হয়ে মিজোরামে কাজে গিয়েছিলেন নিহত যুবকরা। পরিবারের মুখে একটু হাসি ফোটাতে গিয়ে চরম পরিণতির মুখোমুখি হতে হল তাঁদের। ইংরেজবাজারেও মৃতদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। দেন পাশে থাকার আশ্বাস। এই ঘটনা নিয়ে রাজনীতি না করার অনুরোধ করেছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।
Be the first to comment