দোষীরা কেউ ছাড়া পাবে না। নবান্নে যাদবপুরের মৃত পড়ুয়ার বাবা-মায়ের সঙ্গে দেখা করে আশ্বাস দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। মৃত পড়ুয়ার ভাইয়ের লেখাপড়ার দায়িত্বও নিয়েছে রাজ্য সরকার। পাশাপাশি, বগুলা গ্রামীণ হাসপাতালের নামকরণ করা হবে স্বপ্নদীপের নামে, ওখানে ওর একটি মূর্তি বসানো হবে।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে মৃত ছাত্রের বাবা-মায়ের সঙ্গে দেখা করার জন্য ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। সোমবার, দুপুর আড়াইটা নাগাদ নবান্নে আসেন তাঁরা। মুখ্যমন্ত্রী আশ্বাস দেন, ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হবে। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তাঁরা বলেন, এই ঘটনায় যুক্ত কেউ যেন ছাড়া না পায়। অপরাধীদের বিরুদ্ধে কড়া আইনি পদক্ষেপ করা হবে বলে তাঁদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এই বিষয়ে তাঁদের সামনেই প্রশাসনের আধিকারিকদের নির্দেশ দেন বলে দাবি মৃত পড়ুয়ার বাবার।
পাশাপাশি, নদিয়ার বগুলায় যে সরকারি গ্রামীণ স্বাস্থ্যকেন্দ্র রয়েছে সেটিও ওই মৃত ছাত্রর স্মৃতিতে উৎসর্গ করা হবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন তাঁদের ছোট ছেলের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন মমতা। তার লেখাপড়ার খরচ ও পরিবারের নিরাপত্তা রাজ্য সরকার দেবে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী।
৯ অগাস্ট যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের বাংলা বিভাগের ছাত্রের দেহ মেইন হস্টেলের নীচে রক্তাক্ত ও নগ্ন অবস্থায় পাওয়া যায়। পরের দিন ছাত্রের মৃত্যু হয়। ঘটনার নেপথ্যে র্যারগিং ও খুনের অভিযোগ আনে পরিবার। অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা দায়ের করে পুলিশ। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী ও বর্তমান মিলিয়ে ১৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ছাত্রমৃত্যুর পরে নদিয়ায় ছাত্রের বাড়িতে গিয়েছিল রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের প্রতিনিধি দল। গিয়েছিল তৃণমূলের প্রতিনিধি দলও। মৃত ছাত্রের বাবার সঙ্গে ফোনে কথা বলেছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছিলেন তিনি। সুবিচার অবশ্যই পাবেন বলে কথা দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
Be the first to comment