লোকসভা ভোটের আগে বিজেপি জোর ধাক্কা দিয়ে ধূপগুড়ি আসন নিজেদের দখলে নিয়েছে তৃণমূল। বিজেপিকে রীতিমতো ফুঁৎকারে উড়িয়ে এখানে জয় পেয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী নির্মল চন্দ্র রায়। উত্তরে এই সাফল্যে খুশি তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জয়ের পর ধূপগুড়ির মানুষকে অভিনন্দন জানালেন তিনি। পাশাপাশি দেশের বাকি রাজ্যের উপনির্বাচনে ‘ইন্ডিয়া জোট’ বড় সাফল্য পেয়েছে বলেও এদিন জানান বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
শুক্রবার রাষ্ট্রপতির আমন্ত্রণে দিল্লি যাওয়ার পথে বিমান বন্দরে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে উপনির্বাচনে তৃণমূলের ব্যাপক সাফল্যের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “প্রথমেই ধূপগুড়ির মানুষকে আমার অভিনন্দন। সব সম্প্রদায়ের মানুষ এখানে তৃণমূলকে সমর্থন দিয়েছেন তার জন্য ধন্যবাদ। লোকসভার নিরিখে এই আসন বিজেপির অত্যন্ত শক্ত ঘাঁটি ছিল। বিজেপির কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা এসে এখানে প্রচার চালিয়েছিল লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচনে। ফলে এরকম একটি আসনে তৃণমূলের এই জয় ‘উত্তরের জয়’। পাশাপাশি গতকালই আমরা পয়লা বৈশাখ বাংলার প্রতিষ্ঠা দিবস হিসেবে দিন ঠিক করেছি। যা বিধানসভায় পাশ হয়েছে। সেই আবহে এই জয় আসলে ‘বাংলার মাটি বাংলার জল’-এর জয়।” একইসঙ্গে দেশের বাকি রাজ্যের উপনির্বাচন প্রসঙ্গে তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, “এছাড়াও সারা ভারতের নির্বাচনে ৭ আসনের মধ্যে ৪ আসনে বিজেপি হেরেছে। এমনকি উত্তরপ্রদেশের মতো জায়গাতেও বিজেপি হেরেছে। জিতেছে যে ৩ টেতে তার মধ্যে দুটো ত্রিপুরা। যেখানে বিজেপি কাউকে লড়তেই দেয় না। ফলে ওখানে জিতে ওদের আনন্দ পাওয়ার কিছু নেই। দেশের প্রেক্ষিতে এই জয় ‘ইন্ডিয়া জোটের’ বড় জয়। এভাবেই ধীরে ধীরে মানুষ সিদ্ধান্ত নিক।”
উল্লেখ্য, ক্রিকেটের ভাষায় রীতিমতো ব্যাকফুটে গিয়ে ধূপগুড়িতে ছয় হাঁকিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। ২০২১ সালে ৪হাজার ভোটের ব্যবধানে ধূপগুড়ি কেন্দ্রের দখল নিয়েছিল বিজেপি। শুক্রবার এখানে উপনির্বাচনের ফল প্রকাশ্যে আসার পর দেখা যায় সেই ৪ হাজার ভোটই তৃণমূলবাসীকে ফিরিয়ে দিয়েছে ধূপগুড়িবাসী। ৪ হাজার ৩৫৫ ভোটে এই কেন্দ্রে জয়ী হয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী নির্মল চন্দ্র রায়। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে উত্তরবঙ্গের তৃণমূলের এই জয় নিঃসন্দেহে ঘাসফুলের মনোবল আরও শক্ত হল। উত্তরের এই কেন্দ্রে তৃণমূলের জয়ের খবর প্রকাশ্যে আসার পর টুইট করেছেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। টুইটারে তিনি লেখেন, “ধূপগুড়িবাসীকে অসংখ্য ধন্যবাদ ঘৃণা ও ধর্মান্ধতার রাজনীতিকে দূরে সরিয়ে উন্নয়নের রাজনীতিকে গ্রহণ করার জন্য। পাশাপাশি আমি স্যালুট জানাই সেই সকল তৃণমূল কর্মীকে যারা এতদিন ধরে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন, মানুষের মাঝে গিয়ে জনসংযোগ করেছেন। আমরা ধূপগুড়ির সর্বাত্মক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। প্রতিশ্রুতি পূরণ না করা পর্যন্ত আমরা থামব না।
Be the first to comment