কংগ্রেস সংসদীয় দলের চেয়ারপার্সন সোনিয়া গান্ধী বুধবার লোকসভায় মহিলা সংরক্ষণ বিল নিয়ে দলের বিতর্কের নেতৃত্ব দেবেন। সরকার মঙ্গলবার নারী শক্তি বন্দন অধিনিয়াম চালু করেছে, যা লোকসভা এবং রাজ্য বিধানসভায় মহিলাদের জন্য ৩৩ শতাংশ আসন সংরক্ষণ করেছে।
মনমোহন সিং-এর নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকার ২০০৮ সালে রাজ্যসভায় মহিলা সংরক্ষণ বিল উত্থাপন করেছিল, যা ২০১০ সালে পাস হয়েছিল। যদিও, বিলটি কখনই বিবেচনার জন্য লোকসভায় পৌঁছায়নি। ২০১৪ এবং ২০১৯ উভয় লোকসভা নির্বাচনের ক্যাম্পেনে বিজেপির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ছিল এই বিলটি।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মঙ্গলবার সংসদের উভয় কক্ষের সদস্যদের সর্বসম্মতিক্রমে বিলটি পাস করার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি জোর দিয়ে বলেছেন যে এটি ভারতীয় গণতন্ত্রকে আরও শক্তিশালী করবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নারীশক্তি বন্দন অধিকার আমাদের গণতন্ত্রকে আরও শক্তিশালী করবে। আমি জাতির মা, বোন এবং কন্যাদের নারীশক্তি বন্দন অধিকারের জন্য অভিনন্দন জানাই। আমি জাতির সকল মা, বোন এবং কন্যাদের আশ্বস্ত করছি যে আমরা এই বিলটিকে আইনে পরিণত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ’।
বুধবার বেলা ১১ টায় হাউসের বৈঠকে বিলটি আলোচনার জন্য তোলা হবে।
বিরোধীরা বিলটিকে ‘নির্বাচনী জুমলা’ বলে অভিহিত করেছে এবং ওবিসি সংরক্ষণ এবং বাস্তবায়নের সময়সীমার অভাব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। কংগ্রেস বলছে, জনগণনা ও ডিলিমিটেশন না হওয়া পর্যন্ত নারী সংরক্ষণ বিল কার্যকর হবে না
প্রস্তাবিত আইনটি সংসদ এবং রাজ্য আইনসভায় মহিলাদের জন্য ৩৩ শতাংশ কোটার প্রতিশ্রুতি দেয়। তবে এটি ২০২৯ সাল পর্যন্ত কার্যকর নাও হতে পারে বলে জানা গিয়েছে। মহিলা কোটা শুধুমাত্র প্রথম ডিলিমিটেশনের পরে বা বিলটি আইনে পরিণত হওয়ার পরে নির্বাচনী এলাকাগুলির পুনর্বিন্যাসের পরেই প্রয়োগ করা যেতে পারে। এটি সম্ভবত ২০২৭ সালে ঘটতে পারে, কারণ নির্বাচনী কেন্দ্রের পুনর্বিন্যাস শুধুমাত্র পরবর্তী জনগননার পরেই ঘটতে পারে।
বুধবার লোকসভায়, কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী অর্জুন রাম মেঘওয়াল সংবিধান (১২৮তম সংশোধনী) বিল, ২০২৩ পেশ করবেন বলে মনে করা হচ্ছে যা তফসিলি জাতি (এসসি) এবং তফসিলি উপজাতিদের সরকারি চাকরিতে পদোন্নতিতে সংরক্ষণের অনুমতি দেওয়ার জন্য সংবিধান সংশোধন করতে চায়। মেঘওয়াল অ্যাডভোকেটস অ্যাক্ট, ১৯৬১ সংশোধন করার জন্য অ্যাডভোকেটস (সংশোধন) বিল, ২০২৩-ও নিয়ে আসবেন।
Be the first to comment