রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকেই অভিষেককে হেনস্থা! হাইকোর্টের রায়ের পরই সরব তৃণমূল

Spread the love

ইডির হাতে কোনও প্রমাণ নেই। নিয়োগ মামলায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তাই কোনও কড়া পদক্ষেপ নিতে পারবে না কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটি। শুক্রবার এই সংক্রান্ত মামলায় স্পষ্ট জানিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। ইডির দায়ের করা ECIR-এর ভিত্তিতে অভিষেকের বিরুদ্ধে একদিকে কোনও কড়া পদক্ষেপ করা যাবে না। কারণ, অভিষেকের বিরুদ্ধে গ্রহণযোগ্য কোনও প্রমাণ দেখাতে পারেনি ইডি। আদালতের এমন রায়ের পরই তৃণমূলের দাবি, অভিষেককে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকেই হেনস্তা করা হচ্ছিল, সেটা ফের একবার প্রমাণিত।

এ প্রসঙ্গে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, “রাজনীতিতে বিরোধীরা শকুনের চোখ লাগিয়ে রেখেছে। তাই দু-একটি কথা বলে রাখা প্রয়োজন। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে বারবার বলেছেন যে তিনি বিন্দুমাত্র অপরাধ করেননি। কেউ তাঁর বিরুদ্ধে বিন্দুমাত্র কোনও প্রমাণ যদি দেখাতে পারে, তাহলে তিনি নিজে শাস্তি মাথা পেতে নেবেন। আজ আদালতের রায়ে অভিষেকের কথাগুলিই প্রতিধ্বনিত হয়েছে। বিজেপি এতদিন জোর করে কোনও প্রমাণ ছাড়া স্রেফ রাজনৈতিক ভাবে হেনস্তা করার জন্য অভিষেককে ফাঁসানোর চেষ্টা করেছে, সেটা প্রমাণিত।”

রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা বলেন, “হাইকোর্টের নির্দেশের পর এটা স্পষ্ট, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে হেনস্তা করার জন্য বারবার টার্গেট করা হয়েছে। উদ্দেশ্য একটাই যে তাঁকে বদনাম করো, এবং রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ শেষ করে দাও। আমরা ধিক্কার জানাই।”

তৃণমূলের আইটি সেলের চেয়ারপার্সন দেবাংশু ভট্টাচার্যর বক্তব্য, নিজেদের ECIR-এর ভিত্তিতে কোনও প্রমাণ দিতে পারেনি ইডি। হাইকোর্টের এমন রায়ের জন্য বিচার ব্যবস্থাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*