বুধবার দমদমের নাগেরবাজারের একটি বাগানবাড়ি থেকে কল্যাণ ভট্টাচার্য নামের এক বৃদ্ধের দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। প্রাথমিক সন্দেহ যায় ওই ব্যক্তির গাড়ির চালকের ওপরে। নয়াপট্টির জলের ট্যাঙ্ক সংলগ্ন এলাকায় কয়েক বিঘা জমির উপরে থাকা বাড়িটি থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল বৃদ্ধের পচাগলা দেহ। আক্রোশের থেকেই খুন বলে অনুমান করেছিলেন তদন্তকারী অফিসারেরা। প্রতিবেশীদের বয়ান অনুযায়ী গাড়ির ড্রাইভারের খোঁজ শুরু করা হয়। অবশেষে আজ বেলঘড়িয়া এক্সপ্রেসওয়ে থেকে সৌরভ মণ্ডল নামে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। জেরার মুখে তিনি খুনের ঘটনার কথা স্বীকার করেছেন বলেই জানা যাচ্ছে।
কল্যাণ ভট্টাচার্যের মৃত্যুর ঘটনায় খুন এবং চুরির মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। সূত্রের খবর, বৃদ্ধের সঙ্গে থাকত যে পোষ্যটি, শুক্রবার পর্যন্ত তার কোনও সন্ধান পাওয়া যায়নি। শনিবার সকালে দিঘা থেকে গাড়ি চালিয়ে ফিরছিলেন সৌরভ। পুলিশি জেরার মুখে তিনি জানান যে গাড়ির মালিকের থেকে বেড়াতে যাওয়ার জন্য গাড়ির চাবি চাইতে গিয়ে যত ঝামেলার সূত্রপাত। চাবি দিতে অস্বীকার করেন মৃত বৃদ্ধ। এরপরই তাঁকে খুন করে গাড়ি নিয়ে পালিয়ে যান অভিযুক্ত।
Be the first to comment