নির্মলচন্দ্র রায়ের শপথগ্রহণ নিয়ে জটিলতা কাটল না। পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের চিঠির উত্তর দিল রাজভবন। ২ লাইনে চিঠির উত্তর দিয়ে দায় সারলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। কিন্তু সেখানও শপথগ্রহণের দিন উল্লেখ করা হয়নি। উল্টে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠিতে যা লিখেছেন সেখানেই অনড় থাকলেন রাজ্যপাল বোস।
সোমবার ধূপগুড়ির বিধায়কের শপথগ্রহণ নিয়ে রাজ্যপালকে চিঠি দেন পরিষদীয় মন্ত্রী। বলেন, “ধূপগুড়ির বিধায়ক একজন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি। মানুষের পরিষেবা দিতে হয় তাঁকে। এই অবস্থায় অবিলম্বে শপথ গ্রহণের অনুমতি দেওয়া হোক তাঁকে।“ দু’লাইনে এর জবাব দেয় রাজভবন। লেখা চিঠিতে জানানো হয়েছে, রাজ্যপাল শপথ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে চিঠি দিয়ে যোগাযোগ করেছেন। যা কথা বলার মুখ্যমন্ত্রীকেই বলেছেন।
ধূপগুড়ি উপনির্বাচনের ফলাফল প্রকাশিত হয় গত ৮ সেপ্টেম্বর। বিজেপির থেকে এই আসনটি ছিনিয়ে নিয়ে জয়ী হন তৃণমূল প্রার্থী নির্মলচন্দ্র। তারপর থেকেই শপথগ্রহণ পর্ব ঝুলে রয়েছে। টানাপড়েনের জেরে ধূপগুড়ির উন্নয়নের কাজ থমকে রয়েছে। তাই শপথের তারিখ চূড়ান্ত করার সিদ্ধান্ত নিতে চিঠি দেওয়া হয়। আগেও শপথগ্রহণ সংক্রান্ত চিঠি দেওয়া হয়েছিল। উত্তর মেলেনি। এদিকে শনিবার রাজভবনে ধূপগুড়ির বিধায়ক নির্মলচন্দ্র রায়ের শপথগ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। অথচ বিধায়ককে কিছু জানানো হয়নি বলেই দাবি করেন মন্ত্রীর। যদিও সূত্রের খবর রাজভবনের তরফে বিধায়ককে ফোন করে জানতে চাওয়া হয়, তাঁর রাজভবনে শপথ নিতে কোন অসুবিধা রয়েছে কি না! তবে শনিবার শপথ না নিয়ে এই বিষয়ে তাঁকে কিছু জানানো হয়নি বলেই মন্তব্য করেন তিনি।
মঙ্গলবার বিধানসভায় শপথগ্রহণের সবুজ সঙ্কেত দিয়ে চিঠি পাঠায় রাজভবন। তাতে ডেপুটি স্পিকারকে শপথগ্রহণের কথা জানানো হয়। তবে ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, এই বিষয়ে তাঁকে কিছু জানানো হয়নি। স্পিকারের বদলে তাঁকে দিয়ে শপথবাক্য পাঠ করানোটা পরিষদীয় শিষ্টতা এবং রীতির পরিপন্থী বলেই জানান ডেপুটি স্পিকার। স্পিকার পাল্টা রাজভবনে চিঠি পাঠান। বিধাসভায় গিয়ে রাজ্যপালকে শপথগ্রহণের কথা জানান। সব মিলিয়ে ধূপগুড়ির বিধায়কের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের জট কাটল না।
Be the first to comment