১০০দিনের কাজ থেকে শুরু করে আবাস যোজনার টাকা হোক কিংবা রাস্তার কাজ বন্ধ-সহ রাজ্যের একাধিক পাওনা মেটাচ্ছে না কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকার। রাজনীতিতে পেরে না উঠে বাংলার মানুষকে ভাতে মারতেই বিজেপির এই চক্রান্ত। যা নিয়ে বারবারই সরব হয়েছেন মমতা মুখ্যমন্ত্রী বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে তৃণমূল নেতৃত্ব।
এবার একুশে জুলাইয়ের মঞ্চ কেন্দ্রের এই বঞ্চনার বিরুদ্ধে ‘দিল্লি চলো’ ডাক দিয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সমর্থন করেছিলেন সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিষেক জানিয়েছিলেন, নিজেদের অধিকার আদায়ে বাংলার বঞ্চিত মানুষদের নিয়ে দিল্লি যাবেন। এবার সেটাই করতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। আগামী শনিবার দাবি আদায়ে বাংলা থেকে দিল্লি রওনা হচ্ছেন প্রায় ৩-৪ হাজার বঞ্চিত মানুষ।
শুক্রবার জেলা থেকে কলকাতায় আসছেন বঞ্চিতরা। তাঁদের থাকা খাওয়ার বন্দোবস্ত করা হয়েছে নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে। শনিবার ৩-৪ হাজার লোক রওনা দেবেন দিল্লির উদ্দেশ্যে। একুশে জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে তৃণমূলে সর্ববভারতীয় সাধারণ সম্পাদক যে ঘোষণা করেছিলেন সেই অনুযায়ী প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। কেন্দ্রীয় পঞ্চায়েত মন্ত্রী গিরিরাজ সিংয়ের সঙ্গে সাক্ষাতের অনুমতি চেয়ে তাঁর কাছে চিঠি পাঠিয়েছে সরকার। অক্টোবরের ৩ তারিখে তাঁর সঙ্গে দেখা করার জন্য সময় চাওয়া হয়েছে। একশো দিনের বকেয়া টাকা দেওয়ার দাবিতে গিরিরাজের সঙ্গে দেখা করতে যাবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ তৃণমূলের শীর্ষ নেতারা। একশো দিনের কাজ করেও যাঁরা টাকা পাননি, ইতিমধ্যেই বাংলার সেই ৫০ লাখ বঞ্চিত মানুষের সাক্ষর সম্বলিত মানুষের চিঠি ট্রাকে করে দিল্লিতে পৌঁছেছে।
আগামিকাল, শুক্রবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে বঞ্চিতদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। পরের দিন অর্থাৎ শনিবার সকাল ৮টায় হাওড়া স্টেশন থেকে তাঁরা একটি বিশেষ ট্রেনে রওনা হবেন দিল্লি। অক্টোবরের ১ তারিখে তাঁরা সকাল ৮টায় দিল্লি পৌঁছবেন। আগামি ২ ও ৩ অক্টোবর দিল্লিতে যে ধরনা ও বিক্ষোভের কর্মসূচি সাজানো হয়েছে সেখানে তারা অংশ নেবেন।
Be the first to comment