ট্রেন বাতিল করেছে কেন্দ্র। তাই বৃষ্টি মাথায় নিয়ে বাসেই বাংলার বঞ্চিত জব হোল্ডারদের নিয়ে দিল্লির পথে রওনা হয়েছিল তৃণমূল। শনিবারের পর রবিবারও প্রাকৃতিক দুর্যোগের জেরে দুর্ঘটনার কবলে পড়ল দিল্লিগামী তৃণমূলের বাস। রবিবার ভোর পাঁচটা নাগাদ ঝাড়খণ্ডের কোডার্মা এলাকায় রাস্তা খারাপের জন্য মাটির ঢিপিতে ধাক্কা মারে বাসটি। দুর্ঘটনার জেরে যাত্রীরা সকলেই অল্পবিস্তর জখম হয়েছেন। বাসের সামনের অংশেরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। জানা গিয়েছে বাসে থাকা যাত্রীদের অধিকাংশই পুরুলিয়ার বাসিন্দা। আপাতত সকলকেই পুরুলিয়া ফিরিয়ে আনা হচ্ছে।
বাসের যাত্রীরা জানিয়েছেন, সকাল ৫টা নাগাদ প্রবল বৃষ্টি হচ্ছিল ঝাড়খণ্ডের কোডার্মার সূর্যকুন্ড এলাকায়। প্রাকৃতিক দুর্যোগের জেরে দৃশ্যমানতা কম থাকায় খুব ধীরেই বাস চালাচ্ছিলেন চালক। কিন্তু ঝাড়খণ্ডে রাস্তা খারাপ থাকায় বাঁক নিতে গিয়ে বিপত্তি বাঁধে। বাঁকের মুখেই মাটি ঢিপি করে রাখা ছিল। উলটোদিক থেকে একটি লরিও আসছিল। সেই সময় বাঁক নিতে গিয়ে সামনে থাকা মাটির ঢিপিতে ধাক্কা মারে বাসটি। যার জেরে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে বাসটি। বাসের সামনের অংশ তুবড়ে যায়। যাত্রীরাও অল্পবিস্তর জখম হয়েছেন।
জানা গিয়েছে, বাসটিতে ছিলেন পুরুলিয়ার পুঞ্চা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, পুঞ্চা পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি, পুঞ্চা ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি, মানবাজার এক পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি ও বান্দোয়ান ব্লক যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি। এছাড়াও ছিলেন বেশ কয়েকজন জব কার্ড হোল্ডার। দুর্ঘটনা প্রসঙ্গে পুঞ্চা পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি কৃপাসিন্ধু বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, “ঝাড়খণ্ডের কোডার্মায় সূর্যকুন্ডের কাছে আমাদের গাড়ি দুর্ঘটনার মুখে পড়ে। যাত্রীরা অল্পবিস্তর সবাই জখম হয়েছেন। এদের সকলকেই দেবেন মাহাতো গভর্নমেন্ট ও মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা করানো হবে।”
Be the first to comment