চাকরির দাবিতে ফের রাস্তায় চাকরিপ্রার্থীরা। একের পর এক বছর পেরলেও এখনও মিলল না চাকরি। প্রশাসনের একের পর এক আশ্বাস সবই সার। সেই বার্তা আরও এক বার রাজ্য সরকারের কান অবধি পৌঁছতে অভিনব প্রতিবাদ চাকরিপ্রার্থীদের। তাদের বিক্ষোভ মিছিলে দিনের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ল ধর্মতলা। স্তব্ধ মধ্য কলকাতা। রাস্তা জুড়ে শুয়ে পড়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন আপার প্রাইমারি চাকরিপ্রার্থীরা।
চাকরিপ্রার্থীদের বিক্ষোভে মধ্য কলকাতায় ব্যাপক যানজট। ধর্মতলার সংলগ্ন অঞ্চলে যানবাহন চলাচলে অসুবিধার সৃষ্টি হয়েছে। এক পুজো পেরিয়ে অন্য পুজো আসলেও মিলল না চাকরি। সেই বার্তা পৌঁছতে কাশফুল হাতে নিয়ে, কাঁসর ঘণ্টা বাজিয়ে বিক্ষোভ আপার প্রাইমারি চাকরিপ্রার্থীদের।
একদিকে সকাল থেকে নাগাড়ে বৃষ্টি কলকাতায়। তার জেরে ট্রাফিকের গতি সামান্য স্লো। রাস্তার জল কাদায় ভোগান্তির মাঝেই চাকরিপ্রার্থীদের বিক্ষোভে পুজো শপিংয়ের মোক্ষম সময়ই গতি রুদ্ধ ধর্মতলায়। এর আগেই একাধিক বার শহর অবরুদ্ধ হয়েছে চাকরিপ্রার্থীদের মিছিলে। এদিন মিছিলেও রাজ্য সরকারের দৃষ্টি আর্কষণ আর কবে মিলবে চাকরি সেই জবাব পাওয়াই একমাত্র লক্ষ্য।অন্যদিকে, দিল্লির রাজঘাটে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে ধরনায় বসেছে তৃণমূল। তৃণমূলের সাংসদ, বিধায়কসহ জনপ্রতিনিধিরা সেই ধরনায় উপস্থিত রয়েছে। কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে তৃণমূলের ধরনা-বিক্ষোভ ঘিরে যখন তপ্ত দিল্লির রাজনীতি, তখনই চাকরিপ্রার্থীদের ধরনার অনুমতি দিল দিল্লি পুলিশের সাংসদ মার্গ থানা। সোমবার দিল্লির যন্তরমন্তরে হাতে পোস্টার নিয়ে বিক্ষোভ দেখান ২০০৯-এর দক্ষিণ ২৪ পরগনা প্রাথমিকে শিক্ষক পদের চাকরিপ্রার্থীরা। প্রধানমন্ত্রীর দফতর ও কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রীর দফতরেও স্মারকলিপি জমা দিতে পারেন এই চাকরি প্রার্থীরা। লিখিতভাবে তাঁরা অভাব অভিযোগের কথা জানাবেন।
Be the first to comment