দিল্লির ৩৬ নম্বর পণ্ডিত রবিশঙ্কর শুক্ল লেন। যা আগে ক্যানিং লেন নামেই পরিচিত ছিল। এই বাড়িটি সিপিএমের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরির নামে বরাদ্দ। ‘নিউজ়ক্লিক’ সংবাদ ওয়েবসাইট কাণ্ডে আজ, মঙ্গলবার সকালে সীতারাম ইয়েচুরির বাড়িতে সেই বাড়িতেই তল্লাশি চালায় দিল্লি পুলিশ। যদিও তাঁর নামে বরাদ্দ এই বাড়িতে বর্তমানে বসবাস করেন না ইরেচুরি। জানা গিয়েছে,
এই বাড়ি সাধারণত কৃষকসভা এবং এসএফআইয়ের কর্মীদের থাকার জন্যও ব্যবহার করা হয়। এই বাড়িরই আবার একটি তলে থাকেন নিউজ়ক্লিক-এর এক সাংবাদিক। যিনি মূলত গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজ করেন।
নিউজ়ক্লিককাণ্ড নিয়ে দিল্লির বেশ কিছু জায়গায় এদিন বিভিন্ন দলে ভাগ হয়ে তল্লাশি চালায় দিল্লি পুলিশ, ইয়েচুরির এই বাড়িতেও চলে তল্লাশি। এখানে এক সাংবাদিকের
খোঁজেই তল্লাশিতে এসেছিল পুলিশ। ওই সাংবাদিকের ল্যাপটপ এবং মোবাইল বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। ঘটনাচক্রে, সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির দফতরে কাজ করেন ওই সাংবাদিকের বাবা। সেই সুবাদেই ইয়েচুরির পণ্ডিত রবিশঙ্কর লেনের এই বাড়িতে থাকেন সাংবাদিক।
এদিন তল্লাশি প্রসঙ্গে ইয়েচুরি বলেন, “পুলিশ আমার বাড়িতে তল্লাশি করতে এসেছিল। কারণ ওই বাড়িতে দলীয় এক কর্মী থাকেন। যাঁর পুত্র আবার নিউজ়ক্লিক-এ কাজ করেন। পুলিশ ওঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে এসেছিল। ওই কর্মীর পুত্রের ল্যাপটপ এবং ফোন বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। ওরা কিসের তল্লাশি চালাচ্ছে, কেন চালাচ্ছে, কেউ জানে না। যদি সংবাদমাধ্যমকে দাবিয়ে রাখার চেষ্টা হয়, তা হলে দেশের মানুষের জানা উচিত, এর পিছনে কী কারণ রয়েছে।”
Be the first to comment