সদ্য অন্য রাজ্যের একটি মামলায় সুপ্রিম কোর্টে তীব্র ভৎর্সনার মুখে পড়তে হয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডির। এতবড় একটি ক্ষমতা ও দায়িত্বশীল তদন্তকারী সংস্থার কাছ থেকে কী আশা করা হয়, তার বর্ণনা দিয়ে সুপ্রিম কোর্ট বলে, “ইডিকে কখনও প্রতিহিংসা পরায়ণ হতে পারে না। স্বচ্ছ হতে হবে। সমস্ত কিছুর ঊর্ধ্বে গিয়ে ন্যায়পরায়ণ ও ন্যায্য হতে হবে। ইডি কখনও নিজের অবস্থানে প্রতিহিংসা পরায়ণ হতে পারে না।” কিন্তু কেন্দ্রে বিজেপি সরকারের অঙ্গুলিহেলনে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকে শুধুমাত্র বিরোধী নেতা-নেত্রীদের টার্গেট করে ইডি। বাংলার গরিব, বঞ্চিত মানুষের ন্যায্য পাওনা ও অধিকার আদায়ে দিল্লিতে দু’দিনের ধর্ণা ও প্রতিবাদ কর্মসূচি সেরে আজ, বুধবার কলকাতায় ফিরবেন অভিষেক। ঠিক তার আগেই ফের তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদককে তলব করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটি। জানা গিয়েছে, আগামী সোমবার, ৯ অক্টোবর, ফের সিজিও কমপ্লেক্সে তলব করা হয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
এর আগে গত ২৮ সেপ্টেম্বর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে তলব করেছিল ইডি। দিল্লিতে যেদিন তৃণমূলের ধরনা কর্মসূচি, সেদিনই হাজিরার জন্য তলব করে নোটিশ পাঠায় ইডি। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদককে ৩ অক্টোবর সিজিও কমপ্লেক্সে সকাল সাড়ে ১০টায় হাজিরার নির্দেশ দেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। কিন্তু প্রায় আড়াই মাস আগের ঘোষিত কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার জন্য তিনি যাননি।
তারও আগে ইডির ১৩ সেপ্টেম্বর দিল্লিতে না গিয়ে ইডির দফতরে হাজিরা দিয়েছিলেন অভিষেক। সেদিন দিল্লিতে ছিল ইন্ডিয়া জোটের কো-অর্ডিনেশন কমিটির প্রথম ‘সমন্বয়’ বৈঠক। ইডি দফতরে হাজিরা দেওয়ায়, কো-অর্ডিনেশন কমিটির গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হওয়া সত্ত্বেও সেই বৈঠকে যোগ দিতে পারেননি তিনি। সাড়ে ৯ ঘণ্টারও বেশি সময় সেদিন ইডির জেরার মুখোমুখি হন তিনি। কিন্তু এবার আর ইডি হাজিরায় যাননি অভিষেক। হাজিরা দিতে না যাওয়ার কথা টুইট করে জানান অভিষেক। চ্যালেঞ্জ ছোড়েন, ‘পারলে আমাকে আটকে দেখাও!’ সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরার বদলে বকেয়া আদায়ে দিল্লিতে প্রতিবাদ কর্মসূচিতে সামিল হন অভিষেক। এমনকি গতকাল কৃষি ভবনে গিয়ে ধরনা দেওয়ায় তাঁকে আটকও করে দিল্লি পুলিশ। রাতের দিকে ছেড়ে দেওয়া হয়। তারই মাঝে ফের হাজিরার নোটিশ পাঠানো হল অভিষেককে। যা কেন্দ্রের “শাখা সংগঠন” হয়ে
প্রতিহিংসার সামিল বলেই মনে করছে তৃণমূল কংগ্রেস।
Be the first to comment