কৃষি ভবনের সিসিটিভি ফুটেজ দেখা হোক। ফুটেজ বলে দেবে আমরা কৃষি ভবনে কী করেছি! দিল্লিতে দুদিনের ধর্না কর্মসূচি সেরে কলকাতায় ফিরে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর মিথ্যে ভাষণের পর্দাফাঁস করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানান, আমরা ঝামেলা করতে গেলে, আমাদের ৫০০০ লোক ছিল আমাদের। কিন্তু ধর্না কর্মসূচির পরেই আমরা বলে দিয়েছিলাম, কৃষিভবনে শুধু প্রতিনিধিদলই যাব। সেই কজনই গিয়েছিলাম। কিন্তু পিছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে যান সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতি।
অভিষেক বলেন, কৃষি ভবনে শুধুমাত্র প্রতিনিধি দলই গিয়েছিল। সবার পরিচয়পত্র দেখিয়ে প্রবেশ করানো হয়েছে। দু ঘণ্টা অপেক্ষা করার পরে যখন প্রতিমন্ত্রী সঙ্গে দেখা করার জন্য তাঁর সচিবের কাছে যান সাংসদ মহুয়া মৈত্র, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়রা। তিনি জানিয়ে দেন, তিনি ভুক্তভোগীদের সঙ্গে দেখা করবেন না। যাঁরা রাজনৈতিক দলের কর্মী তাদের সঙ্গেই মন্ত্রী দেখা করবেন। বারবার অনুরোধ করা সত্ত্বেও তিনি সেই অনুরোধ রাখেননি। এর পরে মন্ত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা CISF জানায় নিরঞ্জন জ্যোতি পিছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে গিয়েছেন। এরপরেই অভিষেক দাবি করেন, কৃষি ভবনের সিসি ক্যামেরা রিলিজ করুন। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক জানান, ওই সময় দফতরে বসেই তাঁরা লাইভ করেন। কিন্তু মন্ত্রী যদি বসেই থাকেন, তাহলে ডাকলেন না কেন!
তোপ দেগে অভিষেক বলেন, মিথ্যে বলেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। আড়াই ঘণ্টা অপেক্ষা করে মন্ত্রী পালিয়ে গেল কেন? জবাব চাইলেন অভিষেক। তাঁর অভিযোগ, ৮-১০ হাজার পুলিশ নামায় অমিত শাহর মন্ত্রক। মহিলাদের উপর পুলিশ অত্যাচার করে। সবটাই ডকুমেন্ট আছে। অভিষেকের কথায়, ছবি মিথ্যে বলে না। শান্তনু সেন, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিমের উপর অত্যাচার তো হয়েছেই, মহিলা সাংসদ মহুয়া মৈত্র, বীরবাহা হাঁসদা, প্রতিমা মণ্ডল, দোলা সেনের চুলের মুঠি ধরে ভ্যানে তুলেছে পুলিশ। দিল্লি পুলিশের বিরুদ্ধে তোপ দেগে অভিষেক বলেন, এটা ট্রেলার ছিল, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্ব সিনেমা হবে ২মাস পরে।
Be the first to comment