কথা ছিল ১৪ জানুয়ারি মণিপুরের রাজধানী ইম্ফল থেকে সূচনা হবে রাহুল গান্ধীর ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রার। কিন্তু মণিপুরের বিজেপি সরকার প্রদেশ কংগ্রেসের প্রস্তাবে সায় দেয়নি। কংগ্রেস চেয়েছিল ইম্ফলের হাফতা কাংজেইবুঙ্গ ময়দান থেকে যাত্রা শুরু করতে।
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি কেইশাম মেঘচন্দ্র শুক্রবার জানিয়েছেন, রাজ্য সরকার ওই ময়দান থেকে যাত্রার সূচনা অনুষ্ঠানের উপর কঠোর শর্ত আরোপ করে অনুমতি দেয়। সেই শর্ত কংগ্রেসের পক্ষে মানা সম্ভব নয়। তাই ইম্ফল থেকে ৩৪ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত থাইবাল জেলা থেকে যাত্রার সূচনা হবে।
দলীয় সূত্রের খবর, সেখানে দলের নেতা তথা রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ইবোবি সিংহের পরিবারের বিশাল মাঠ রয়েছে। সেখান থেকে যাত্রা শুরু করবেন রাহুল গান্ধী। জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করে যাত্রার সূচনা করবেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে।
রাহুলের যাত্রা ইম্ফল থেকে শুরু করার জন্য কংগ্রেস ২ জানুয়ারি মণিপুরের স্বরাষ্ট্র দফতরের কাছে অনুমতি চেয়ে দরখাস্ত করে। কিন্তু প্রশাসন আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির কথা জানিয়ে ইম্ফল থেকে প্রথমে যাত্রা শুরুর অনুমতি দিতে অস্বীকার করে। পরে প্রশাসন জানায়, ইম্ফলের সংশ্লিষ্ট ময়দানে এক হাজার লোকের বেশি মানুষ জড়ো হতে পারবে না। এই শর্ত কংগ্রেস মেনে নিলে তবেই ইম্ফল থেকে যাত্রা শুরুর অনুমতি দেওয়া হবে।
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি জানান, তাঁরা এই শর্তে সভা করতে রাজি হননি। তাই সভার স্থান বদলে ইম্ফলের বাইরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, রাজ্য কংগ্রেস নেতৃত্ব অনুমতি আদায়ের জন্য মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংহের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের জানান, রাহুল গান্ধী-সহ কংগ্রেস নেতাদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনায় রেখে গোয়েন্দা সংস্থাগুলি ইম্ফলে সভা করা ঝুঁকিপূর্ণ হবে বলে রিপোর্ট দিয়েছে।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি ঘটে যাওয়া জাতি দাঙ্গা থেকে মুক্ত ছিল না রাজধানী ইম্ফলও। এখনও বিবদমান কুকি ও মেইতেই জনগোষ্ঠীর মধ্যে বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে। কংগ্রেস অবশ্য রাহুলের যাত্রা নিয়ে সরকারি সিদ্ধান্তের পিছনে রাজনীতি দেখছে। দলীয় নেতাদের বক্তব্য, রাহুলের যাত্রাকে সামনে রেখে কংগ্রেস যাতে বড় জমায়েত করতে না পারে, সেজন্যই নিরাপত্তার ইস্যু সামনে আনা হয়েছে। অথচ মুখ্যমন্ত্রী হামেশাই দাবি করেন, রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক।
Be the first to comment