মণিপুরে শান্তি ফেরানোই টার্গেট! ন্যায় যাত্রার দ্বিতীয় দিনে ‘সংকল্প’ রাহুলের

Spread the love

ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা’র দ্বিতীয় দিন। আগামী দুই মাসের মধ্যে ‘ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা’ মণিপুর থেকে মহারাষ্ট্রে যাবে। গতকাল মণিপুর থেকে যাত্রা শুরু হয়েছে। কংগ্রেস বলেছে যে ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা নির্বাচনকে সামনে রেখে আয়োজন করা হচ্ছে না। সরকার সংসদে জনগণের সমস্যা উত্থাপন করার সুযোগ দেয়নি বলেই কংগ্রেসের তরফে এই যাত্রায় আয়োজন করা হয়েছে।

লোকসভা নির্বাচনের আগে, কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী তার দ্বিতীয় জংসংযোগ যাত্রা শুরু করেছেন, যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা’। রাহুল গান্ধী ইম্ফলের কাছে থৌবাল জেলা থেকে যাত্রা শুরু করেন। কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে এবং অন্যান্য শীর্ষস্থানীয় নেতারা থৈবালের যাত্রার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন। যাত্রার লক্ষ্য হল বিধানসভা নির্বাচনে শেষ দফায় খারাপ পারফরম্যান্সের পরে ২০২১ সালের লোকসভা নির্বাচনে আগে দলকে পুনরুজ্জীবিত করা।

আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগে, কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর দেশব্যাপী পদযাত্রা, ‘ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা’ সোমবার দ্বিতীয় দিনে প্রবেশ করেছে। ইম্ফল পশ্চিমের সেকমাই থেকে পুনরায় শুরু হয়েছে এই যাত্রা৷ মণিপুরে দুটি জনসভা সেরে আজই রাহুল গাঁধীর ন্যায় যাত্রা ঢুকে পড়বে নাগাল্যান্ডে। যাত্রাটি প্রায় ৬৬ দিন ধরে, ১৫ টি রাজ্য জুড়ে ৬,৭০০ কিলোমিটারের বেশি পথ অতিক্রম করবে। যাত্রায় ১০০টি লোকসভা আসন কভার করবে, যার মধ্যে ৫৮টি হিন্দি-ভাষী রাজ্য যেমন উত্তর প্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, ঝাড়খণ্ড, বিহার এবং রাজস্থানে রয়েছে। শুধুমাত্র উত্তরপ্রদেশে যাত্রাটি ২৮টি লোকসভা অংশের মধ্য দিয়ে যাবে, যার মধ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বারাণসী নির্বাচনী এলাকা, রায়বেরেলি, আমেঠি, এলাহাবাদ, ফুলপুর এবং লখনউ রয়েছে।

মার্চের তৃতীয় সপ্তাহে মুম্বইয়ে এই যাত্রা শেষ হবে। রাহুল গান্ধীর কাছে এই যাত্রা চলাকালীন সব বড় পরীক্ষা বিরোধী জোটের মিত্রদের যাত্রায় অংশগ্রহণ। গত বছর তামিলনাড়ু থেকে জম্মু ও কাশ্মীর পর্যন্ত তার ভারত জোড়ো যাত্রার সাফল্যের পর এটি রাহুলের দ্বিতীয় জনসংযোগ যাত্রা।
মণিপুর থেকে কংগ্রেসের এই যাত্রা শুরু বিশেষ ইঙ্গিতবাহী বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। গত কয়েক মাস ধরে জাতিগত হিংসায় মণিপুরে ১৮০ জনেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। কংগ্রেস বলেছে যে ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা নির্বাচনকে সামনে রেখে আয়োজন করা হয়নি। সরকার সংসদে জনগণের সমস্যাগুলি উত্থাপন করার সুযোগ দেয়নি এবং এই উদ্যোগের উদ্দেশ্য হল দেশে ন্যায়বিচার পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা।

সোমবার দ্বিতীয় দিনে প্রবেশ করেছে ভারত জোড়ো যাত্রা। ইম্ফল পশ্চিমের সেকমাই থেকে পুনরায় শুরু হয়েছে রাহুলের দ্বিতীয় জনসংযোগ যাত্রা। জনসাধারণের উদ্দেশে এদিন রাহুল বলেন, তিনি হিংসা কবলিত “মণিপুরে শান্তি ফিরিয়ে আনতে চান।” কংগ্রেসের ন্যায় যাত্রার দ্বিতীয় দিনে রাহুল মানুষের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*