মণিপুর থেকে ‘ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা’ শুরু করেছেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। মঙ্গলবার যাত্রার তৃতীয় দিনে নাগাল্যান্ডে পৌঁছেছেন তিনি। নাগাল্যান্ডের কোহিমায় স্থানীয়দের সঙ্গে তিনি দেখা করেন। ১৪ জানুয়ারি মণিপুর থেকে ‘ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা’ শুরু করেছেন রাহুল গান্ধী।
২২ জানুয়ারি অযোধ্যায় রাম মন্দিরের মেগা উদ্বোধন। গোটা দেশে সেদিন অকাল দীপাবলি পালনের ডাক দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আর এবার পাল্টা কর্মসূচি ঘোষণা করে দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। কলকাতার রাজপথে মেগা সংহতি মিছিলের ডাক দিলেন মমতা। মঙ্গলবার দুপুরে সাংবাদিক বৈঠকে এ কথা ঘোষণা করেন তিনি। যেদিন অযোধ্যায় রাম মন্দির উদ্বোধন হবে, সেদিন সকালে কালীঘাট মন্দিরে পুজো দিতে যাবেন মমতা। আর তারপর কলকাতার রাজপথে মেগা সংহতি মিছিলে হাঁটবেন তৃণমূল নেত্রী। সব ধর্মের সব সম্প্রদায়ের মানুষকে সঙ্গে নিয়ে হাজরা থেকে পার্ক সার্কাস ময়দান পর্যন্ত এই মিছিল হবে বলে জানালেন তিনি। মিছিল শেষে বক্তব্য রাখবেন মমতা।
শুধু শহর কলকাতাতেই নয়, সেদিন গোটা রাজ্যজুড়ে সংহতির বার্তা নিয়ে এই সম্প্রীতি মিছিল করবে তৃণমূল কংগ্রেস। মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করলেন, ২২ জানুয়ারি কলকাতার পাশাপাশি প্রত্যেক জেলায় প্রতিটি ব্লকে সবাইকে নিয়ে সম্প্রীতি মিছিল করতে তৃণমূল।
উল্লেখ্য, লোকসভা ভোটের মুখে রাম মন্দির উদ্বোধন বিজেপির পালে কতটা হাওয়া দেবে, তা নিয়ে চর্চা চলছে বিভিন্ন মহলে। রাম মন্দির উদ্বোধন ঘিরে তৃণমূলের অবস্থান বেশ কিছুদিন আগেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল। তৃণমূলের বক্তব্য ছিল, ভগবান রামের প্রতি সকলেরই ভক্তি-শ্রদ্ধা রয়েছে। কিন্তু ভগবান রামকে ‘নির্বাচনের এজেন্ট’ হিসেবে ব্যবহারে আপত্তি তৃণমূলের। আর এবার তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করে দিলেন, সেদিন কলকাতার রাস্তায় সম্প্রীতি মিছিল করবে তৃণমূল এবং সেই মিছিলে হাঁটবেন দলনেত্রী স্বয়ং।
এদিন সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী জানালেন, ‘আমাকে বিভিন্ন মন্দির নিয়ে প্রশ্ন করা হচ্ছে। আমার এই নিয়ে কোনও কিছু বলার নেই। আমি বার বার বলি ধর্ম যার যার উৎসব সবার। ২২ জানুয়ারি আমি নিজে একটি মিছিল করল। প্রথমে আমি নিজে কালী মন্দিরে যাব। ওখানে সবাই যাবে না। আমি মা কালীকে পুজো দিয়ে হাজরা থেকে সর্বধর্মের মানুষকে নিয়ে মিছিল করে পার্ক সার্কাস ময়দানে গিয়ে আমরা একটা সভা করব।’
Be the first to comment