সন্দেশখালিতে গিয়ে হামলার জের। আরও এক কোম্পানি সিআরপিএফ পেতে পারে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা ইডি ও সিবিআই। সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে এই বিষয়ে ইতিমধ্যেই কথাবার্তা চলছে। বাহিনী পাওয়ার আশাবাদী এজেন্সির কর্তারা।
রেশন দুর্নীতির তদন্তে সন্দেশখালিতে গিয়ে মার খেতে হয় ইডি কর্তাদের। অভিযোগ, বাঁশ-লাঠি দিয়ে তাঁদের উপর হামলা চালান সেখানকার বাসিন্দাদের একাংশ। ভেঙে দেওয়া হয় গাড়ি। মাথা ফাটে গোয়েন্দাদের। গুরুতর আহত অবস্থায় তিনজন গোয়েন্দাকে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। শুধু তাই নয়, তাঁদের সঙ্গে থাকা নিরাপত্তারক্ষীরা ছাড় পাননি। অভিযোগ, মারধর করা হয় তাঁদেরও। এরপরই গোয়েন্দাদের সুরক্ষায় আরও এক অতিরিক্ত বাহিনী তাঁদের দেওয়া হতে পারে বলে সূত্রের খবর।
আলোচনা যা হয়েছে সেই অনুযায়ী এই এক কোম্পানি বাহিনী (জওয়ান থাকেন ৮২-৮৩ জন) এলে তাদের রিজার্ভ হিসেবে রাখা হবে। প্রয়োজন অনুযায়ী ব্যবহার করতে পারবে ইডি-সিবিআই। মূলত, ইডি-সিবিআই গোয়েন্দারা তল্লাশি অভিযানের কাজেই বাহিনী ব্যবহার করবেন বলে খবর। তবে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে এই বিষয়ে এখনও কোনও সঙ্কেত মেলেনি। কিন্তু আলোচনা হয়েছে তা কার্যত স্পষ্ট।
এই মুহূর্তে ইডি-সিবিআই-এর জন্য দুকোম্পানি বাহিনী মোতায়েন রয়েছে। সন্দেশখালির ঘটনার পরেই আরও বাহিনী নিয়ে অভিযানে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। কথা ওঠে ইডি ডিরেক্টরের সঙ্গে সিআরপিএফ কর্তাদের বৈঠকেও। তার জেরেই মিলতে পারে আরও এক কোম্পানি বাহিনী। প্রসঙ্গত, গোয়েন্দা আধিকারিকদের উপর হামলার পর যে তল্লাশিতে ইডি আধিকারিকরা গিয়েছেন তাঁদের সঙ্গে থাকা জওয়ানরা ছিলেন আরও সতর্ক। আবার হামলা হতে পারে ধরে নিয়ে মাথায় হেলমেট পরেছিলেন জওয়ানরা। হাতেও ঢাল রাখা হয়। এরপর আরও এক কোম্পানি বাহিনী আনার আলোচনায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। ফলত, গোয়েন্দা ও জওয়ানদের সুরক্ষার স্বার্থে এই আলোচনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে খবর।
Be the first to comment