বৃহস্পতিবার প্রবেশ করেছিল রাহুল গান্ধীর ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা। কিন্তু শুরু হয়েই তা শেষের মুখ দেখতে চলেছে। কারণ আপাতত এই কর্মসূচি স্থগিত রেখে নয়াদিল্লি ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। সুতরাং কংগ্রেসের ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা জুড়ল না বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। আজ, বৃহস্পতিবার দুপুরেই তড়িঘড়ি নয়াদিল্লি ফিরে যাচ্ছেন রাহুল গান্ধী বলে সূত্রের খবর। পারিবারিক কিছু জরুরি কাজের জন্যই তাঁকে মাঝপথে সফর স্থগিত করে চলে যেতে হচ্ছে।
এদিকে বঙ্গ সফর এভাবে কাটছাঁট করবেন রাহুল তা আগাম কেউ বুঝতে পারেননি। নয়াদিল্লি ফিরে যাচ্ছেন রাহুল গান্ধী বলেই দলীয় সূত্রে খবর। হাসিমারা থেকেই ফিরে যাচ্ছেন রাহুল গান্ধী। সেখানে পারিবারিক দরকারি কাজ পড়ে যাওয়াতেই তড়িঘড়ি নয়াদিল্লি ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে ঘনিষ্ঠ সূত্রের খবর। আবার ২৮ তারিখ তিনি বাংলায় আসবেন বলে কংগ্রেস সূত্রে খবর। ভাওয়াইয়া গান, বৈরাতি নাচ আর বোরোলি মাছ। এই তিনটি বিষয়কে সামনে রেখে রাহুল গান্ধীকে স্বাগত জানানো হয়। কোচবিহার এমনই নিজস্বতার উপর আস্থা দেখাল।
বৃহস্পতিবার অসম থেকে বাংলার মাটিতে পা রাখেন রাহুল গান্ধী। লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে ভারত জোড়ো যাত্রা শুরু করেছে কংগ্রেস। আর তার পথ ধরেই ১৪ বছর পর আবার কোচবিহারের মাটিতে পা রাখলেন রাহুল গান্ধী। কিন্তু হঠাৎ এই কর্মসূচি কেন থমকে গেল? এই নিয়ে বিশেষ কেউ কিছু বলছেন না। বক্সিরহাটেই রাহুলের হাতে পোড়া মাটির মা দুর্গার মূর্তি তুলে দেন অধীররঞ্জন চৌধুরী। তারপর সভা মঞ্চ থেকে রাহুল গান্ধী বিজেপিকে নিশানা করে বলেন, ‘আরএসএস–বিজেপি মিলে দেশজুড়ে হিংসা ছড়াচ্ছে। তার প্রতিবাদ করতেই হবে। বাংলার মানুষের কথা শুনতেই আমি এসেছি।’
অন্যদিকে এখানে রাহুল গান্ধী ও তাঁর সঙ্গে আড়াইশো কংগ্রেস কর্মীর জন্য মধ্যাহ্নভোজের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। মেনুতে রাখা হয়েছে বোরোলি মাছ। কিন্তু সেসব আর খাওয়া হবে না বলেই মনে হচ্ছে। কারণ তিনি নয়াদিল্লি ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কী এমন ঘটল পরিবারে? এই নিয়ে কেউ মুখ খুলতে চাইছেন না। ইন্ডিয়া জোট প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে রাহুল গান্ধী জানান, অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করতেই এই জোট। বাংলার মানুষের কথা শুনতেই তাঁর রাজ্যে আসা। বিজেপি–আরএসএস যে হিংসার পরিবেশ তৈরি করেছে সেটার অবসান ঘটাতে হবে।
Be the first to comment